পদ্মা মেঘনা যমুনার কাছে পড়ে আছে বিনিয়োগকারীদের ৩৫ কোটি টাকা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পদ্মা মেঘনা যমুনার কাছে পড়ে আছে বিনিয়োগকারীদের ৩৫ কোটি টাকা


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব তিন কোম্পানির কাছে ২০১৮-১৯ হিসাব বছর পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত ডিভিডেন্ড পড়ে রয়েছে ৩৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানি ৩টি হলো-পদ্মা ওয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও যমুনা অয়েল লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো সূত্রে এ জানা গেছে।


কোম্পানিগুলোর সূত্রে জানা যায়, সাধারণত কোম্পানির শেয়ার পোর্টফোলিওতে থাকলে বছর শেষে পাওয়া যায় ক্যাশ ডিভিডেন্ড বা স্টক ডিভিডেন্ড। কিন্তু বিও হিসাব নবায়ন না করা, ব্যাংকের হিসাব অকার্যকরসহ নানা কারণে অবণ্টিত থেকে যায় কোম্পানির ডিভিডেন্ড, যা ‘সাসপেন্ডেড’ হিসেবে জমা থাকে কোম্পানির কাছে। এ ধরনের অবণ্টিত ডিভিডেন্ড জ্বালানি বিপণনকারী তিন কোম্পানির কাছে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৩৫ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পড়ে আছে।


২০১৭-১৮ পর্যন্ত অবণ্টিত ডিভিডেন্ড ছিল ২৫ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার ৫৬২ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে অদাবিকৃত দায় বেড়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৬১ হাজার ২১৭ টাকা। সবচেয়ে বেশি পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের কাছে অবণ্টিত ডিভিডেন্ড জমা আছে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬৩ হাজার। আর মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডে ১১ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ টাকা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে ৭ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ২২৯ টাকা। আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ছিল পদ্মায় ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা, মেঘনায় ৭ কোটি ৬০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮১ টাকা এবং তিন কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮১ টাকা অবণ্টিত ডিভিডেন্ড জমা ছিল।


এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক হিসাবে দেখা গেছে, ডিএসইর ২০৮টি ও সিএসইর ১২৭টি কোম্পানিসহ মোট ৩৩৫ কোম্পানির প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ড অবণ্টিত অবস্থায় আছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত বোনাস ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা ও ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ৬৩৪ কোটি টাকা। একইভাবে সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে অবণ্টিত বোনাস ডিভিডেন্ডের পরিমাণ আট হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ও ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ৩২১ কোটি টাকা। আর এমন অবণ্টিত ডিভিডেন্ড নিয়ে বিনিয়োগ সুরক্ষা ফান্ড গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করছে বিএসইসি।


কমিশন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পুঁজিবাজারের কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ডিভিডেন্ড বিতরণ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান ঘোষিত ডিভিডেন্ডের অবণ্টিত অর্থ ও শেয়ার তিন বছরের বেশি নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে না। ঘোষিত ডিভিডেন্ডের দাবিদার খুঁজে না পেলে তিন বছর পর সেই অর্থ ও শেয়ার স্থানান্তর করতে হবে পুঁজিবাজার উন্নয়নে গঠিত বিশেষ তহবিলে।

কোন মন্তব্য নেই