শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ
আর মাত্র দুদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। এতে গত কয়েক দিনের গাড়ি ও যানবাহনের চাপ অব্যাহত আছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য সময় ঈদের আগে চাপ আরও কয়েক গুণ বেশি ছিল। বর্তমানে ঘাটে যে চাপ আছে, সেটা স্বাভাবিক।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন আজ রোববার সকাল ১০টায় বলেন, ঈদের দুদিন আগে ঘাটের যেমন চাপ থাকার কথা, তেমনটা নেই। যতটুকু চাপ আছে, তা স্বাভাবিক। উভয় ঘাট দিয়ে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এসব যানবাহনের মধ্যে ছোট গাড়ি, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
শিমুলিয়া ফেরিঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামনে ঈদুল আজহা। চার দিন ধরে এই নৌপথ দিয়ে দেশের দক্ষিণের জেলার মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। এর ফলে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীও যানবাহনের চাপ চলমান। এবার লকডাউনের আগে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে নিজের গ্রামে ফিরে গেছে। লঞ্চ চলাচলও স্বাভাবিক আছে। তাই গত ঈদুল ফিতরের তুলনা চাপ কম আছে। ঘাটে আসা যানবাহনগুলো কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরই ফেরিতে উঠতে পারছে। বহু যাত্রী লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
আজ সকালে দেখা যায়, ঘাটে যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শ্রীনগরের সমসপুর থেকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। শিমুলিয়া-ভাঙ্গা মোড় দিয়ে যাত্রী ও পরিবহনগুলো ঘাটের দিকে ছুটছে। ঘাটের প্রবেশদ্বারে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। ফেরিঘাটে সংযোগ সড়কেই যানবাহনের সারি।
কোন মন্তব্য নেই