দর সংশোধনে আতঙ্কিতরা বিক্রয় করছেন শেয়ার - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

দর সংশোধনে আতঙ্কিতরা বিক্রয় করছেন শেয়ার



 

প্রধান সূচকের সঙ্গে কমছে অন্যান্য সূচক। একই সঙ্গে কমে আসছে লেনদেন। পুঁজিবাজারের একটানা উত্থানের পর এখন চলছে টানা পতন। সংশ্লিষ্টরা এ প্রবণতাকে দর সংশোধন বললেও বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।


আরও শেয়ারদর হারানোর শঙ্কায় বিক্রয় প্রবণতায় নেমেছেন সব পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিক্রয় চাপে পতন হচ্ছে সূচক, শেয়ারদর ও লেনদেনে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।


গত ২১ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহের তথ্য বলছে, ডিএসইতে এ সময়ে মোট ৩৮২টি সিকিউরিটিজ লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বাড়ে মাত্র ৩১টির, যা সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। শেয়ারদর কমে যায় ৩৩৮টির, অপরিবর্তিত ছিল ৯টির ও লেনদেন হয়নি চারটির।


ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে যায় ১৬৭ পয়েন্ট, ডিএস৩০ কমে যায় ১৯ দশমিক ৮০ পয়েন্ট ও ডিএসইএস কমে যায় ৪২ দশমিক ২৭ পয়েন্ট। একই সঙ্গে লেনদেন কমে যায় ৩৩ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।


বিক্রয় চাপে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন হারায় সাত হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, একটানা উত্থানের পর এখন চলছে পতনের ধারা। এটিকে অনেকেই দর সংশোধন বলছেন।

কিন্তু বিনিয়োগকারীরা পুঁজির নিরাপত্তার কাছে থাকা শেয়ার বিক্রয় শুরু করে দিয়েছেন। লোকসান আরও বেশি হওয়ার চেয়ে এখনই শেয়ার বিক্রয়ের উপযুক্ত সময় মনে করছেন তারা। ফলে ডিএসইতে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ শেয়ারের দর পতন হয়েছে।


বিশেষ করে ব্যক্তি পর্যায় থেকে বিক্রয় চাপ বেশি ছিল গত সপ্তাহে। এতে বেশিরভাগ শেয়ারের দর পতন হয়। এরপরও মৌলভিত্তির খাতের মধ্যে ব্যাংক ও ওষুধ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।


ফলে আগের সপ্তাহের চেয়ে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারের দর হিসেবে সিমেন্ট খাতে সাত দশমিক ৯, সিরামিক খাতে ছয় দশমিক সাত ও বস্ত্র খাতে ছয় দশমিক দুই শতাংশ লোকসান দেখতে পান বিনিয়োগকারীরা।


এ পতনের বাজারেও গত সপ্তাহে জীবন বিমা, ট্যানারি ও বিবিধ খাতে আগের চেয়ে মুনাফা দেখতে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তথ্য বলছে, আলোচিত সপ্তাহে তিনটি বাদে সব খাতে লোকসান দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা।


এ সময় ডিএসইর মোট লেনদেনে শীর্ষে ওঠে ব্যাংক খাত। মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ছয় শতাংশ অবদান রাখে খাতটি। এরপর থাকা ওষুধ খাত ১৩ দশমিক পাঁচ, বস্ত্র খাত আট দশমিক তিন, প্রকৌশল খাত সাত দশমিক তিন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত সাত দশমিক তিন, জীবন বিমা পাঁচ দশমিক সাত, ট্যানারি পাঁচ দশমিক ছয় ও সিমেন্ট খাত পাঁচ দশমিক এক শতাংশ অবদান রাখে।


একক কোম্পানি হিসেবে ডিএসইতে শেয়ারের দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ওঠে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ বাড়ে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। এরপর রয়েছে গোল্ডেন সন, বেক্সিমকো, ডেল্টা লাইফ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, ফরচুন শুজ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স।


অন্যদিকে আলোচিত সময়ে শেয়ারের দর হারানোর শীর্ষ তালিকায় ছিল আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস, বাংলাদেশ ল্যাম্পস, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, ফু-ওয়াং সিরামিক ও সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।



কোন মন্তব্য নেই