নিরব যে কারণে কিউকমে ‘সরব’ হয়েছিলেন
এ প্রসঙ্গে মামলার তদারকি কর্মকর্তা ও ও তেজগাঁও জোনের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ এডিসি হাফিজ আল ফারুক বলেন, আদালতের নির্দেশে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে নিরবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি কিউকম,এর মালিক রিপন মিয়া এবং গ্রাহকদের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছেন। যেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ নিরব গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, মূলত অতি লোভের আশায় রেডিওর চাকরি ছেড়ে দেন। এরপরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে প্রচারণায় নামেন। তারই অংশ হিসেবে কিউকমের হেড অফ সেলস কমিউনিকেশন এন্ড পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে গত ১৫ বছর আরজে হিসেবে বিভিন্ন রেডিও ও বেসরকারি টেলিভিশনেও কাজ করেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে আরজে পেশা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপরই নেমে পড়েন ই-কমার্সের নামে প্রতারণায়। কিউকমে যোগদানের পর নিরব কোটি টাকা হাতানোর প্রতারণার কৌশল রপ্ত করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল মাধ্যমে কিউকম সম্পর্কে প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে
রিমান্ডে অবশ্য নিরব গোয়েন্দাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান।
নিরবের কাজ ছিল লোভের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষজনকে আকৃষ্ট করা। নিজের ফেসবুক একাউন্টে তিনি কিউকম নিয়ে নানা প্রচারণা চালান। গত ২৪ আগস্ট কিউকম নিয়ে তিনি একটি নিউজ শেয়ার করেন। সেখানে নিরব লেখেন পুরো দেশ আর সারা দুনিয়া জুড়ে কিউকম ছড়াতে চায় ইনশাআল্লাহ। ৮ বিভাগের নিজস্ব ডেলিভারি পয়েন্ট, ওয়ারহাউজ, কাস্টমার কেয়ার চালু করবে কিউকম। নিজের ফেসবুক একাউন্টে এমন অনেক স্ট্যাটাস ও নিউজের মাধ্যমে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিরব। কিউকমের প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসার পর ২২ সেপ্টেম্বর নিরব তার ফেসবুকে লেখেন মনে হয় এই শিল্পটা বন্ধ না করে কেউ থামবে না। একজন সৎ কর্মচারী হিসেবে বিপদের দিন মালিকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছিলাম যেন গ্রাহক তার টাকাটা ফেরত পায়। সঠিক ভাবে গুছিয়ে কাজ করতে পারলে হয়তো তা সম্ভব।
পল্টন থানায় প্রতারণা ও আত্মসাতের মামলায় গত রোববার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়াকে। পরে তার দেওয়া তথ্য এবং গ্রাহকের মামলায় বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) নিরবকে আদাবরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই