৫০টি বিমানবন্দরকে বাফার জোন ঘোষণা এফএএর - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

৫০টি বিমানবন্দরকে বাফার জোন ঘোষণা এফএএর


যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি বিমানবন্দরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। এ বিমানবন্দরগুলোয় বাফার জোন তৈরি করা হবে। অর্থাৎ সেখানে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজন ছয় মাসের জন্য ফাইভজি সিগন্যাল নির্দিষ্ট করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি বিমানবন্দর এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজনের ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানায় তদারককারী সংস্থাটি। খবর গিজমোদো।


১৯ জানুয়ারি থেকে এ সেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এক বিবৃতিতে এফএএ বলেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় তাতে বিঘ্ন ঘটা, ব্যবহারকারীর পরিমাণ বেড়ে গেলে কাজে ব্যাঘাত ঘটা, খারাপ আবহাওয়ার দিনে ও অবস্থানভেদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সমস্যার সমাধান করতেই তৈরি হচ্ছে এ বাফার জোন। অন্যদিকে জোনটি তৈরির ফলে ফাইভজির জন্য ব্যবহূত অ্যান্টেনার কারণে উড়োজাহাজের রাডার আল্টিমিটারে সঠিক তথ্য দিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। রাডার আল্টিমিটারের সাহায্যে পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও তারা কোথায় নামবেন সে নির্দেশনা দেয়া হয়।


যে ৫০টি বিমানবন্দরকে বাফার জোনের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডালাস লাভ ফিল্ড, শিকাগোর ও’হেয়ার, উত্তর নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক, অস্টিন, নাশভিলে, হাস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি, সিয়াটল ও সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর। আগামী ছয় মাস এসব বিমানবন্দরে বাফার জোনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ সময় উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে। ফাইভজি চালু অবস্থায় উড়োজাহাজ পরিচালনায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটিও দেখা হবে।


গত সোমবার এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজন ফাইভজি পেছাতে সম্মত হয় এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজনের মতো মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট। তদারকি সংস্থার অনুরোধে তারা আরো দুই সপ্তাহের জন্য ফাইভজি পেছাতে রাজি হয়। বাফার জোন ঘোষণার ফলে আগামী ছয় মাস ওই বিমানবন্দরের কাছে ফাইভজি নিয়ন্ত্রণে রাখবে এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজন। ফাইভজি চালু অবস্থায় উড়োজাহাজ নিরাপদে চালানো যায় কিনা তা নিশ্চিত হয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মহল।


এর আগে ফাইভজি চালু ও পেছানো নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এভিয়েশন তদারকি সংস্থা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদানকারীদের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। নতুন বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীবাহী ও কার্গো পরিবহনকারী উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জোট এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা (এফোরএ) জানায়, ফাইভজি সেবা এভিয়েশন শিল্পে কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে তা ঠিকমতো পর্যালোচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। সি-ব্যান্ডের ফাইভজি সেবা এভিয়েশন শিল্পে কেমন নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করতে পারে তা বিশ্লেষণে এফসিসিকে আরো সময় নিতে হবে।


প্রধান বিমানবন্দরগুলোর কাছে যদি ফাইভজি চালু করা হয় তাহলে ভয়ানক ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন এয়ারলাইনস শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনটি। এফোরএ জানায়, ফ্লাইট বাতিল কিংবা হাজারো ফ্লাইটের রুট পরিবর্তনের ফলে শতকোটি ডলার লোকসান গুনতে পারে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। সংগঠনটি জানায়, ফাইভজি সেবা চালু হলে লাগার্ডিয়া, কেনেডি ও নিউয়ার্ক-নিউইয়র্ক শহরের তিনটি প্রধান বিমানবন্দরের কার্যক্রমই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া শিকাগোর ও’হেয়ার, বোস্টনের লোগান, লস অ্যাঞ্জেলেসের ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ ও সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর ফাইভজি সেবা চালুতে ঝুঁকিতে পড়বে।

কোন মন্তব্য নেই