রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে চীন!
ইউক্রেন নিয়ে ব্যস্ত রাশিয়া আর কংগ্রেসের বাধার মুখে আমেরিকাকেও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে অস্ত্র সরবরাহ সীমিত রাখতে হচ্ছে। এ সুযোগে অঞ্চলটির প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠছে চীন। এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা নিউলাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি’র মানব নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক নিকোলাস হেরাস মিডলইস্ট আইকে জানিয়েছেন, চীন মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশে দ্বিতীয় অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, মূল্য ও শিল্প ক্ষমতার সমন্বয়ই আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের কাছে চীন অস্ত্র বিক্রির প্রধান উপাদান।
তিনি বলেন, চীনারা বিশ্বব্যাপী তাদের অস্ত্রের বাজার সম্প্রসারণে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারা গ্রাহকদের হার্ডওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ উভয়েই প্রতিযোগিতামূলক মূল্য অফার করছে। সেই সাথে তারা অস্ত্রের সিস্টেম আপগ্রেড ও কার্যকর অস্ত্র সরবরাহ করছে।
চীনা অস্ত্র ক্রয় মধ্যপ্রাচ্যের ক্রেতাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওপর তাদের রাজনৈতিক নির্ভরতা কমাবে। সেই সাথে কম খরচে তারা তাদের অস্ত্রাগার পূর্ণ করতে পারবে।
হেরাস উল্লেখ করেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, চীনকে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র সরবরাহের শূন্যস্থান পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর ইতোমধ্যে চীন মধ্যপ্রাচ্যে তার অস্ত্রের বাজার বাড়ানো শুরু করে দিয়েছে। এবং মনে হচ্ছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
দুটি বড় ধরনের চুক্তিতে চীন এ বছর পাকিস্তানের কাছে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা চেংডু জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং এফকে-৩ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করেছে সার্বিয়ার কাছে।
তবে হেরাস বলেন, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে সরাসরি পরীক্ষার অভাবে চীনা উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রগুলো এখনো বিশ্বাসের ঘাটতিতে রয়েছে। এ দিক দিয়ে আমেরিকান, ইউরোপিয়ান, রাশিয়ান এমনকি তুরস্কের অস্ত্র ব্যবস্থাপনাগুলোর অনেক বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।
‘আপাতত, চীন মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির জন্য তার বাজারের অংশীদারিত্ব বাড়াচ্ছে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে উচ্চ-মাত্রার অস্ত্রের বাজারে চীনের প্রবেশে একটি যুদ্ধের প্রয়োজন হবে যাতে উচ্চমানের চীনা অস্ত্রগুলো প্রতিযোগীদের মাঝে ছাড়িয়ে যায়,’ বলেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই