মিয়ানমারের গ্রাহকদের সহায়তা করতে চায় টেলিনর
মিয়ানমারে ডিজিটাল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা ব্যবহারকারীদের যেকোনা উপায়ে সহায়তা করতে চায় নরওয়েভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান টেলিনর। সেনা শাসনের মুখে গত বছর প্রতিষ্ঠানটি সেখান থেকে তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি সরিয়ে নেয়। খবর রয়টার্স।
২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তা সরকার নজরদারি প্রযুক্তি কার্যকর করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সে সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসা বিক্রি করে দেয়। ব্যবসা বিক্রির কারণে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের তথ্য সামরিক শাসকদের হাতে চলে যেতে পারে বলে আলোচনা ও সমালোচনা করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী ও সমাজসেবীরা। সমালোচনা সত্ত্বেও টেলিনর পরিপূর্ণভাবে মিয়ানমার ত্যাগ করে।
সম্প্রতি দেয়া এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) অভিযোগ পদ্ধতির অধীনে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে একমত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে তারা মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি ও ঝুঁকি পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একজন স্বাধীন গবেষক নিয়োগ দেবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের কারণে যেসব অধিবাসী ঝুঁকি ও সমস্যার মুখে রয়েছে তাদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি দেখা হবে।
দুই পক্ষই একটি বিষয়ে একমত, মিয়ানমারের অধিবাসীদের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সাবেক কর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ও টেলিনর জানায়, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চুক্তি সম্পন্ন করাই মূল লক্ষ্য।
১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিনিময়ে টেলিনর মিয়ানমারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম লেবাননের বিনিয়োগ সংস্থা এমওয়ান ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠান শ্বে ব্যাইন ফুয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তারা টেলিনরের ব্যবসায়িক নাম পরিবর্তন করে অ্যাটম দিয়েছে। টেলিনর মিয়ানমারের সাবেক এক কর্মচারী জানান, কর্মীরা এখানে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র গণতন্ত্রপন্থী বিরোধীদের হুমকির মধ্যেও রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই