২০৪৭ সালে ভারতের অর্থনীতি হবে ৪০ লাখ কোটি ডলারের —মুকেশ আম্বানি
২০৪৭ সালের মধ্যে ৪০ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে ভারত। বর্তমান আকার থেকে যা ১৩ গুণ বড়। ভারতের বিলিয়নেয়ার মুকেশ আম্বানি বলেছেন, প্রথমত পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিপ্লব এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে দেশটি। খবর এনডিটিভি।
বর্তমানে বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের অর্থনীতি। তার আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি। আম্বানির পরিসংখ্যান এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির থেকেও বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। গত সপ্তাহে গৌতম আদানি বলেন, ভোগ ও সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুনর্গঠন হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির আকার হবে ৩০ লাখ কোটি ডলার।
পণ্ডিত দীনদয়াল এনার্জি ইউনিভার্সিটির দশম কনভোকেশনে অংশ নিয়ে মুকেশ আম্বানি বলেন, বর্তমানের ৩ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতি থেকে ২০৪৭ সালে অর্থনীতি হবে ৪০ লাখ কোটি ডলারের। সেই সময়ে ভারত শীর্ষ তিনটি অর্থনীতির একটি হবে।
বর্তমান থেকে ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, সেই সঙ্গে দেশ এ সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সুযোগের নজিরবিহীন বিস্তৃতি দেখতে পারবে। তিনি যোগ করেন, তিনটি পুরোপুরি গেম চেঞ্জার বিপ্লব এ সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, বায়ো জ্বালানি বিপ্লব ও ডিজিটাল বিপ্লব।
এ বিপ্লবে বেশ বড় অংশগ্রহণ রয়েছে আম্বানির তেল থেকে শুরু করে টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। তারাই সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে হাইড্রোজেন দিয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ভ্যালু চেইন তৈরি করছে। তবে জিওর কারণে টেলিকম খাত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আম্বানি বলেন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বিপ্লব এবং বায়ো জ্বালানি বিপ্লবের ফলে টেকসই জ্বালানি তৈরি করা হবে, আর ডিজিটাল বিপ্লবের কারণে আমরা এসব জ্বালানি উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারব। তিনটি বিপ্লব একত্রে ভারতকে সাহায্য করবে এবং আমাদের পৃথিবীকে জলবায়ু সংকট থেকে রক্ষা করবে।
কোন মন্তব্য নেই