দ. কোরিয়ায় চিপ রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল জাপানের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

দ. কোরিয়ায় চিপ রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল জাপানের


দক্ষিণ কোরিয়ায় চিপ উপাদান রফতানিসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে জাপান। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় উভয় দেশের শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওলের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে। বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা জানিয়েছেন, রফতানি নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত আলোচনায় উন্নয়ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা আরো ফলপ্রসূ হবে। খবর কিয়োদো নিউজ।


এ বিষয়ে জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরিয়াকে পুনরায় গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে বিবেচনা করবে কর্তৃপক্ষ। 


২০১৯ সালের জুলাইয়ে জাপান সরকার দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনটি উপাদানের রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে। এগুলো হলো ফ্লোরিনযুক্ত পলিমাইড, প্রতিরোধক এবং হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড। ওয়ারটাইম লেবার বা যুদ্ধকালীন শ্রম বিতর্ক এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার পরে এসব পদক্ষেপ নেয় দেশটি। ওই সময়ে তথাকথিত ‘গ্রুপ-এ’ দেশের তালিকা থেকেও সরিয়ে দেয়া হয় দ. কোরিয়াকে। ফলে সামরিক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন প্রযুক্তিবিষয়ক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ে কোরিয়া।


জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যখন ‘গ্রুপ এ’-তে ফিরে আসবে, তখন তিনটি পণ্যের ওপর কঠোর রফতানি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়া হবে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে দুটি জাপানি কোম্পানিকে ১৯১০-৪৫ সময়ের ঔপনিবেশিক শাসনামলে জবরদস্তিমূলক শ্রমের অভিযোগে কোরিয়ান নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাপান-কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে।


যদিও জাপান বলেছিল, রফতানি নিয়ন্ত্রণগুলো নিরাপত্তা উদ্বেগের ভিত্তিতে ছিল। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া এ পদক্ষেপগুলোকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিশোধ হিসেবে দেখছিল। সমস্যা সমাধানের জন্য ডব্লিউটিওর কাছে রফতানি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।


এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানি পণ্য বয়কট করার পদক্ষেপের কারণেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে ভূমিকা রেখেছে। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধকালীন শ্রম বিতর্কের সমাধানের ঘোষণা দেয়ার পর, উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তারা রফতানি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে।

কোন মন্তব্য নেই