পিসিখাতের উত্থানে ভূমিকা রেখেছিলেন গর্ডন মুর - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পিসিখাতের উত্থানে ভূমিকা রেখেছিলেন গর্ডন মুর


ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) খাতের উত্থানে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন গর্ডন মুর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা কয়েক দশক ধরে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পিসি খাতকে করেছেন জনপ্রিয়। চিপ শিল্পের এ পথপ্রদর্শক সম্প্রতি ৯৪ বছর বয়সে হাওয়াইয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। খবর রয়টার্স।


১৯৬৮ সালে মুর ও রবার্ট নয়েসসহ মোট আটজন ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিকস (ইন্টেল) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৫ সালে এক প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘‌প্রযুক্তির উন্নতির জন্য ধন্যবাদ। কয়েক বছর আগে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর মাইক্রোচিপগুলোয় ট্রানজিস্টরের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।’


বর্তমান বিশ্বে প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রো প্রসেসর তৈরি ও গবেষণায় সবচেয়ে অগ্রগামী হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হন। পরে সিইও পদে তিনি টানা আট বছর দায়িত্ব পালন করেন।


ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট গেলসিঞ্জার বলেন, ‘গর্ডন মুর তার অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে প্রযুক্তি শিল্পকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এছাড়া কয়েক দশক ধরে প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।’


জীবনের শেষ সময়ে প্রযুক্তি জগৎ ছেড়ে জনহিতকর কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন গর্ডন মুর। 


তার সহধর্মিণী বেটিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন গর্ডন অ্যান্ড বেটি মুর ফাউন্ডেশন। তার প্রতিষ্ঠিত এ ফাউন্ডেশনটি জলবায়ু ও পরিবেশসংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে কাজ করে।


তার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে গর্ডন অ্যান্ড বেটি মুর ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হার্ভে ফাইনবার্গ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যারা গর্ডনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাক্ষাৎ করেছেন, তারা চিরকাল গর্ডনের প্রজ্ঞা, নম্রতা ও উদারতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হবেন।’


২০০২ সালে প্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘‌মেডেল অব ফ্রিডম’ পেয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার হিস্টোরি মিউজিয়ামের ফেলো নির্বাচিত হন।


কোন মন্তব্য নেই