নারী ফুটবলে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন
ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন স্পেন। সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় আজ রোববার (২০ আগস্ট) নবম নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় লা রোজারা। বিশ্বকাপে মাত্র তৃতীয়বারের মতো অংশ নিয়েই শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখাল স্প্যানিশ নারীরা।
স্পেন ও ইংল্যান্ড উভয় দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন জাগায়। শক্তির বিচারে এই রেসে কেউই কারো চেয়ে পিছিয়ে ছিল না। ফাইনালে লড়াইও হলো স্নায়ুক্ষয়ী। ৫৭ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল স্পেন, আর ইংলিশ নারীরা ৪৩ শতাংশ। যদিও ৭৫ হাজার দর্শকের সামনে শেষ হাসি হাসল স্প্যানিশ নারীরাই। ব্যবধান গড়ে দিল স্পেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনার একমাত্র গোল। ম্যাচের ২৯ মিনিটে মাটি কামড়ানো শটে তিনি গোল করেন।
অবশ্য আরো বড় ব্যবধানে জিততে পারতো স্পেন। ৬৯ মিনিটে স্পেনের ১০ নম্বর জার্সিধারী জেনিফার হারমোসো পেনাল্টি মিস করায় গোল ব্যবধান আর বাড়েনি। ইংল্যান্ড গোলকিপার ম্যারি আর্পস বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিচু শটের বলটি গ্লাভসবন্দি করেন। ইংল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধে লরেন জেমস ও চোল কেলিকে মাঠে নামালে আক্রমণের ধার বাড়ে। লরেনের একটি শট স্পেন গোলকিপার ঠেকিয়েছেন। যদিও গোল আদায় করতে পারেনি লায়নেসরা।
বিশ্বকাপে এর আগে ইংল্যান্ডের সেরা অর্জন তৃতীয় স্থান। এটা তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।১৯৯১, ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের আসরে তারা কোয়ালিফাই করেনি। ২০০৭ ও ২০১১ সালে টানা দুবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার পর ২০১৫ সালে তৃতীয় ও ২০১৯ সালে চতুর্থ হয় লায়নেসরা। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো সেমিফাইনালে ওঠা দলটি প্রথমবারের মতো উঠে যায় ফাইনালেও। যদিও শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়া হলো। চোখের জলে বিদায় নিলেন লুসি ব্রোঞ্জ, মিলি ব্রাইট, লরেন জেমসরা।
এদিকে, ২০১৫ সালে অভিষেক আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় স্পেন। ২০১৯ সালে খেলেছে শেষ ষোলোয়। এবার নিজেদের তৃতীয় আসরে সবাইকে চমকে দিয়ে লা রোজারা উঠে যায় ফাইনালে। রূপকথা লিখে চলা স্প্যানিশ নারীরা শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরছে।
প্রথম কোচ হিসেবে দুটি দেশকে বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলেছেন সারিনা উইগম্যান। ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডস ও এবার ইংল্যান্ড। টানা দুবার ফাইনালে হারের তেতো স্বাদ পেলেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে টানা গোল করা সালমা প্যারালুয়েলো সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন। টুর্নামেন্টসেরা হয়েছেন স্পেনের আইতানা বোনমাতি। আর সেরা গোলকিপারের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের ম্যারি আর্পস।
কোন মন্তব্য নেই