এমটিএফইর মাধ্যমে অর্থ পাচারের সন্দেহ সিআইডির
হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে অবৈধ অনলাইন গ্যাম্বলিং ক্রিপ্টো ট্রেডিং ভিত্তিক কোম্পানি এমটিএফই। বন্ধ হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম পঞ্জি মডেলে ব্যবসা করত। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী ছিল। তবে অধিকাংশই বাংলাদেশী বিনিয়োগকারী।
এমটিএফইর কার্যক্রম খতিয়ে দেখছে সিআইডি। আজ রোববার (২০ আগস্ট) সংস্থাটির মুখপাত্র আজাদ রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, এমটিএফইর হঠাৎ লাপাত্তা হওয়ার পেছনে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনা রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এমটিএফই থেকে কোনো লেনদেন হচ্ছে না। পরদিন প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরিভাবে তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দেয়। এর আগে ১৫ দিন যাবত ‘কারিগরি সমস্যা’ উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের কমিশন বন্ধ রেখেছিল এমটিএফই। ফলে বিনিয়োগকারীরা টাকা উঠাতে পারছিলেন না।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা জানান, এমটিএফইর বাংলাদেশে সিইও পদমর্যাদার ব্যক্তি রয়েছেন ৪০০ জনের অধিক। শুধু রাজধানীতেই এই কর্মকর্তাদের ২৫০ অফিস উদ্বোধন হয়েছে। আর সিইও হওয়ার তালিকায় রয়েছেন আরো এক হাজার ব্যক্তি। এ কোম্পানিতে ৯৩০ ডলার বা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে মাসে ৪৫ হাজার টাকা লাভ দেয়া হতো। ৫০০ ডলার বা ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে লাভ ২২ হাজার টাকা লাভ দেওয়া হতো।
কোন মন্তব্য নেই