🎭 বর্তমান সময়ের “নবাব ফ্রড কাস্টমার” অভিজ্ঞতা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
অনলাইন ব্যবসায় প্রতারণামূলক গ্রাহক আচরণ ও কুরিয়ার দায়িত্বহীনতা: একটি বাস্তব কেস
প্রথম অর্ডার: অভিযোগ ও সার্ভিস পরামর্শ
২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে গ্রাহক অভিযোগ করেন যে,
👉 “মেশিন হঠাৎ করে কাজ করছে না।”
প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়—
-
প্রোডাক্টের বক্সে থাকা ACI অফিসিয়াল হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করলে জেলার সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার বিনামূল্যে সার্ভিস প্রদান করবেন।
-
চাইলে গ্রাহক কুরিয়ারের মাধ্যমে প্রোডাক্ট সার্ভিসে পাঠাতে পারবেন, তবে কুরিয়ার চার্জ গ্রাহকের দায়িত্বে বহন করতে হবে।
তখন গ্রাহক জানান, তিনি নিজেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন।
দ্বিতীয় অর্ডার: হঠাৎ অস্বীকৃতি
পরে একই গ্রাহক আবারও একটি নতুন Blower Machine অর্ডার করেন। ফোন কনফার্মেশনের সময় তিনি নিজেই বলেন—
👉 “আগের মেশিন সার্ভিসে ঠিক হয়ে গেছে, এবার নতুন অর্ডারটা আমার পরিচিত একজনের জন্য।”
অতএব প্রতিষ্ঠান নতুন অর্ডারটি Steadfast Courier-এর মাধ্যমে শিপ করে। কিন্তু ডেলিভারির সময় গ্রাহক হঠাৎ জানিয়ে দেন—
👉 “আমি টাকা দেব না, কারণ আপনারা আমাকে আগের খারাপ প্রোডাক্ট দিয়েছেন।”
কুরিয়ার ও মার্চেন্টের মধ্যে জটিলতা
-
রাইডার ফোনে মার্চেন্টকে জানান যে গ্রাহক টাকা না দিয়েই প্রোডাক্ট নিতে চাচ্ছেন।
-
মার্চেন্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেন: “টাকা ছাড়া কোনোভাবেই প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবেন না।”
-
কিন্তু রাইডার জানান, তার পক্ষে গ্রাহককে প্রোডাক্ট না দিয়ে ফেরত আনা সম্ভব নয়, এবং গ্রাহক প্রোডাক্টটি নিয়েও চলে যান।
রাইডার ফোনে মার্চেন্টকে জানান যে গ্রাহক টাকা না দিয়েই প্রোডাক্ট নিতে চাচ্ছেন।
মার্চেন্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেন: “টাকা ছাড়া কোনোভাবেই প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবেন না।”
কিন্তু রাইডার জানান, তার পক্ষে গ্রাহককে প্রোডাক্ট না দিয়ে ফেরত আনা সম্ভব নয়, এবং গ্রাহক প্রোডাক্টটি নিয়েও চলে যান।
মার্চেন্টের পক্ষ থেকে আবারও স্পষ্টভাবে জানানো হয়—
-
আগের প্রোডাক্টটি ACI সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস হবে, এতে মার্চেন্টের কোনো শর্টকাট বা প্রতারণার প্রশ্নই আসে না।
-
মার্চেন্ট গ্রাহককে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক ছিলেন, কিন্তু গ্রাহক নিজেই প্রোডাক্ট সার্ভিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
প্রোডাক্ট ছিনতাই করার পরের দিন কাস্টমারের সাথে কথা বলার রেকর্ড
ঘটনার পরিণতি
-
পরে গ্রাহক নতুন প্রোডাক্টটি খুলে ব্যবহার শুরু করেন।
-
সেটিও নষ্ট করে পুনরায় ফেরত করেন।
পরে গ্রাহক নতুন প্রোডাক্টটি খুলে ব্যবহার শুরু করেন।
সেটিও নষ্ট করে পুনরায় ফেরত করেন।
ফলাফল—
-
মার্চেন্ট আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
-
কুরিয়ার সার্ভিস টাকা ছাড়া প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়।
-
গ্রাহক বারবার অসৎ আচরণ করে ই-কমার্স খাতের জন্য হুমকি তৈরি করেন।
মূল সমস্যা
-
কিছু গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে প্রোডাক্ট বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে চান।
-
অনেক কুরিয়ার সার্ভিস প্রোডাক্ট ডেলিভারির সময় তাদের মৌলিক দায়িত্ব (COD টাকা সংগ্রহ) ঠিকমতো পালন করে না।
কিছু গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে প্রোডাক্ট বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে চান।
অনেক কুরিয়ার সার্ভিস প্রোডাক্ট ডেলিভারির সময় তাদের মৌলিক দায়িত্ব (COD টাকা সংগ্রহ) ঠিকমতো পালন করে না।
সমাধানের প্রস্তাব
✅ টাকা ছাড়া কোনো ডেলিভারি নয় – কুরিয়ার কোম্পানিকে এই নীতি কঠোরভাবে মানতে হবে।
✅ ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাহক ব্ল্যাকলিস্ট – এমন গ্রাহকদের ভবিষ্যতের অর্ডার ব্লক করা উচিত।
✅ স্পষ্ট ওয়ারেন্টি নীতি অনুসরণ – আগের প্রোডাক্টের সার্ভিসিং সবসময় অফিসিয়াল কোম্পানির মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে, মার্চেন্ট শুধু সহযোগিতা করবে।
✅ কুরিয়ারের জবাবদিহিতা – মার্চেন্টের বিশ্বাসে দেওয়া প্রোডাক্ট সঠিকভাবে হ্যান্ডেল না করলে তার দায় কুরিয়ার সার্ভিসকেই নিতে হবে।
উপসংহার
এ ধরনের গ্রাহক ও কুরিয়ার সার্ভিসের দায়িত্বহীনতা শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং পুরো ই-কমার্স খাতের জন্য হুমকি। ব্যবসার নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও গ্রাহক আস্থা বজায় রাখতে মার্চেন্ট, কুরিয়ার ও ব্র্যান্ড—সবার মধ্যে দায়িত্বশীল সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।
WhatsApp চ্যাট স্ক্রিনশট উপস্থাপন
সংযুক্তি: গ্রাহকের সঙ্গে WhatsApp কথোপকথনের স্ক্রিনশট (তারিখ ও সময়সহ)
কোন মন্তব্য নেই