২৭৫ কোটি টাকার আইপিও জালিয়াতি: ১০ জনের দেশত্যাগে ‘রেড কার্ড’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলাটি বর্তমানে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তদন্তাধীন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, ফার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের ফারুক বিদেশি কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইল (ডিইপিজেড)–এর প্রকৃত আর্থিক সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া শেয়ারহোল্ডার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আইপিও প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্ত করেন। এতে সংঘবদ্ধভাবে ২৭৫ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুল কাদের ফারুক বিদেশি কোম্পানিটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (MoU) অনুযায়ী জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের ৪০–৬০ শতাংশ নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে, দেশীয় ও বিদেশি কর্মকর্তারা সরাসরি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এরপর আদালত অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আব্দুল কাদের ফারুকসহ বিদেশি চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক মিলিয়ে ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কোন মন্তব্য নেই