মার্কিন শুল্ক সুবিধা পেতে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান বিজিএমইএর - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

মার্কিন শুল্ক সুবিধা পেতে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান বিজিএমইএর


ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মার্কিন শুল্ক ছাড়ে দ্রুত পদক্ষেপ চায় বিজিএমইএ: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বস্ত্র বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা

টাইমস এক্সপ্রেস ২৪

৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রধান সংগঠন বিজিএমইএ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুনভাবে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার বিষয়ে দ্রুত স্পষ্টীকরণ আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে দেশের উদ্যোক্তারা বিলম্ব ছাড়াই শুল্ক সুবিধা গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।”

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিদল এবং কটন ইউএসএ (Cotton USA)-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল—দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, মার্কিন তুলার ব্যবহার সম্প্রসারণ, এবং মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে নবঘোষিত শুল্ক ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগানো।

বিজিএমইএ’র দাবি: দ্রুত প্রশাসনিক স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পোশাক উৎপাদনে যদি অন্তত ২০% মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ক থেকে আনুপাতিক ছাড় পাওয়া যাবে।
তবে, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কারখানাগুলো কীভাবে সুবিধাটি গ্রহণ করবে—সে বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।

তিনি মার্কিন প্রতিনিধিদলকে অনুরোধ জানান, যেন তারা প্রশাসনের কাছ থেকে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য এনে বিজিএমইএকে সরবরাহ করে।

মার্কিন তুলা ব্যবহারে আগ্রহ বৃদ্ধি

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহৃত তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়। মাহমুদ হাসান খান বলেন, “এই পরিমাণ দ্বিগুণ বা তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব, যদি আমরা কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে পারি।”

তিনি আরও জানান, মার্কিন তুলার উচ্চমান ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে গবেষণা করলে দেশীয় স্পিনার ও কারখানাগুলো আমদানি বাড়াতে আরও উৎসাহী হবে।

যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার প্রস্তাব

বিজিএমইএ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক কারখানাগুলোর দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মার্কিন তুলা রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে।
এছাড়া, বিজিএমইএ ইনোভেশন সেন্টারে উৎপাদন বৃদ্ধি ও অপচয় হ্রাসে যৌথ গবেষণার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

লজিস্টিক ও অবকাঠামো উন্নয়নেও আলোচনা

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি দ্রুততর করতে ওয়্যারহাউজ স্থাপন, লজিস্টিক অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
মার্কিন প্রতিনিধিদল কিছু প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করলে বিজিএমইএ আশ্বাস দেয়, বিষয়গুলো দ্রুত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি

মার্কিন প্রতিনিধিদল জানায়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্ববাজারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, আর মার্কিন তুলা তার টেকসই গুণগত মানের কারণে বাংলাদেশি পোশাকের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা আরও বাড়াবে।

উভয় পক্ষই দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

কোন মন্তব্য নেই