মাশরাফির হাতে শিরোপা
‘সৌম্য যেদিন খেলবে সেদিন অন্যরা দর্শক হয়ে থাকবে’- সৌম্য সরকারের ওপর এমন বিশ্বাস অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। সৌম্য করে দেখালেন। প্রমাণ করলেন নিজেকে, সত্যি প্রমাণিত করলেন অধিনায়কের কথা। আর এমন মঞ্চে করলেন যেখানে মাশরাফির হাতে উঠল শিরোপা। যে শিরোপা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে বছরের পর বছর!
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রঙিনে পোশাকের দুই ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। কী আশ্চর্য্য, ছয় ফাইনালের একটিতেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিটি ফাইনালে দুঃস্বপ্ন ফিরে আসতো প্রেতের মতো, অশরীরী হয়ে। এবার কোনো বাধা মাশরাফির দলের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পোড়েনি বাংলাদেশ। উৎসবের মঞ্চে উৎসব করল। ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা বোর্ডের সামনে করল ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের উৎসব। সাত নম্বর দিয়ে ফাইনালের গেরো খুলল বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। জয় এমনিতেও মধুর। কিন্তু যেভাবে, যে পরিস্থিতিতে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা জিতেছে, তা অনন্তকাল মনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। শুক্রবার ডাবলিনের মালাহাইডে মেঘলা আবহাওয়ায় আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাশরাফি ভুল করেছিলেন কি না, তা বলা মুশকিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুশি হয়েছিল বেশ।
দুই ওপেনার প্রথম দফা বৃষ্টির আগে তুলেছিল ২০.১ ওভারে ১৩১ রান। এরপর কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি। ধুয়ে যায় মাঠ, আশপাশ। অলস সময় কাটানো বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে তখন ভালো খবর পৌঁছে যায়। আর ম্যাচ না হলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ওভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে লাভ নেই। তাইতো বৃষ্টি বন্ধ হলে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় দল। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ২৪ ওভারে। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫২ রান। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২১০!
বেরসিক বৃষ্টিতে পাগলাটে লক্ষ্য পেয়েও আত্মবিশ্বাস হারায় না বাংলাদেশ। হারায় না বলেই তো ৭ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সবটাই যে সৌম্য আর মোসাদ্দেকের অবদান। শুরুর ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন সৌম্য। শেষটা রাঙিয়েছেন মোসাদ্দেক। সৌম্যর ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংসটি পুরো বাংলাদেশকে শিরোপা জয়ের আশায় স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। তার ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬০.৯৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি মাতিয়ে রাখে স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের।
তাকে ফিরিয়ে ও মাঝে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। কারণ অ্যান্টিক্লাইম্যাক্সের শো তখন বাকি ছিল। মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে জয়ের পথ সহজেই পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। ২০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে মোসাদ্দেক দীর্ঘদিন পরে ফিরেছেন স্বরেূপে। পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। আর সৌম্যর হাতে উঠেছে ফাউন্ডেশন অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
শুরুতে তামিম ও সৌম্যর ৫.৩ ওভারে ৫৯ রানের জুটি ছিল বড় অর্জন। সেখান থেকে সৌম্য সামনে এগোলেও তামিম পারেননি। ফাইনালের মঞ্চে এলোপাথাড়ি শটগুলোতে তামিমকে লাগছিল বড্ড এলোমেলো। তবুও রান আসছিল। তা যোগ হচ্ছিল স্কোরশিটে। গ্যাব্রিয়েলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ১৮। সাব্বির ফিরেছিলেন তিন নম্বরে সাকিবের জায়গায়। কিন্তু রানের খাতা খুলতে পারার আগেই আউট। বিস্ফোরক ব্যাটিং করা সৌম্যকে ফিরিয়ে রাইফার পান প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে উইকেটের স্বাদ। এরপর মুশফিককে (৩৬) সাজঘরের পথ দেখান এ বাঁহাতি। মিথুন আশা জাগিয়ে আউট হন ১৭ রানে রিভার্স সুইপ করগে গিয়ে।
সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৭.১ ওভারে মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর হার না মানা ৭০ রানের জুটি বাংলাদেশকে দিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা। মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংসটি ছিল মনোমুগ্ধকর। মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ১৯ রান করেছেন দেখেশুনে ধীরস্থির থেকে। তাতেই সব পাওয়া হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
তবে সব পাওয়ার দিনে আক্ষেপ হয়ে থাকতে পারে ছন্দহীন বোলিং। বাড়তি ঠান্ডায় বোলিং ছিল একেবারে নিরামিষ। মুস্তাফিজ ৫ ওভারে ব্যয় করেছেন ৫০ রান। সাইফউদ্দিন ৫ ওভারে ২৯, মাশরাফি ৬ ওভারে ২৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করা শাই হোপের উইকেটটি পেয়েছেন মিরাজ। এ ছাড়া ক্যারিবীয়দের হয়ে ব্যাট হাতে ৬৯ রান করে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সুনীল অ্যামব্রিস।
বৃষ্টি আর্শীবাদ হয়ে এসেছিল না কি অভিশাপ, তা বলা মুশকিল! তবে যে কারণেই আসুক না কেন, তাতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো আর আটকাতে পারেনি। বরং বৃষ্টির সুবাদে সৌম্য-মোসাদ্দেকের ব্যাটিং ঝড় বেশ ভালোই উপভোগ করেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রঙিনে পোশাকের দুই ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। কী আশ্চর্য্য, ছয় ফাইনালের একটিতেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিটি ফাইনালে দুঃস্বপ্ন ফিরে আসতো প্রেতের মতো, অশরীরী হয়ে। এবার কোনো বাধা মাশরাফির দলের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পোড়েনি বাংলাদেশ। উৎসবের মঞ্চে উৎসব করল। ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা বোর্ডের সামনে করল ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের উৎসব। সাত নম্বর দিয়ে ফাইনালের গেরো খুলল বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। জয় এমনিতেও মধুর। কিন্তু যেভাবে, যে পরিস্থিতিতে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা জিতেছে, তা অনন্তকাল মনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। শুক্রবার ডাবলিনের মালাহাইডে মেঘলা আবহাওয়ায় আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাশরাফি ভুল করেছিলেন কি না, তা বলা মুশকিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুশি হয়েছিল বেশ।
দুই ওপেনার প্রথম দফা বৃষ্টির আগে তুলেছিল ২০.১ ওভারে ১৩১ রান। এরপর কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি। ধুয়ে যায় মাঠ, আশপাশ। অলস সময় কাটানো বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে তখন ভালো খবর পৌঁছে যায়। আর ম্যাচ না হলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ওভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে লাভ নেই। তাইতো বৃষ্টি বন্ধ হলে তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় দল। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ২৪ ওভারে। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫২ রান। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২১০!
বেরসিক বৃষ্টিতে পাগলাটে লক্ষ্য পেয়েও আত্মবিশ্বাস হারায় না বাংলাদেশ। হারায় না বলেই তো ৭ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সবটাই যে সৌম্য আর মোসাদ্দেকের অবদান। শুরুর ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন সৌম্য। শেষটা রাঙিয়েছেন মোসাদ্দেক। সৌম্যর ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংসটি পুরো বাংলাদেশকে শিরোপা জয়ের আশায় স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। তার ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬০.৯৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি মাতিয়ে রাখে স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের।
তাকে ফিরিয়ে ও মাঝে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। কারণ অ্যান্টিক্লাইম্যাক্সের শো তখন বাকি ছিল। মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে জয়ের পথ সহজেই পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। ২০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে মোসাদ্দেক দীর্ঘদিন পরে ফিরেছেন স্বরেূপে। পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। আর সৌম্যর হাতে উঠেছে ফাউন্ডেশন অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
শুরুতে তামিম ও সৌম্যর ৫.৩ ওভারে ৫৯ রানের জুটি ছিল বড় অর্জন। সেখান থেকে সৌম্য সামনে এগোলেও তামিম পারেননি। ফাইনালের মঞ্চে এলোপাথাড়ি শটগুলোতে তামিমকে লাগছিল বড্ড এলোমেলো। তবুও রান আসছিল। তা যোগ হচ্ছিল স্কোরশিটে। গ্যাব্রিয়েলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ১৮। সাব্বির ফিরেছিলেন তিন নম্বরে সাকিবের জায়গায়। কিন্তু রানের খাতা খুলতে পারার আগেই আউট। বিস্ফোরক ব্যাটিং করা সৌম্যকে ফিরিয়ে রাইফার পান প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে উইকেটের স্বাদ। এরপর মুশফিককে (৩৬) সাজঘরের পথ দেখান এ বাঁহাতি। মিথুন আশা জাগিয়ে আউট হন ১৭ রানে রিভার্স সুইপ করগে গিয়ে।
সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৭.১ ওভারে মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর হার না মানা ৭০ রানের জুটি বাংলাদেশকে দিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা। মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংসটি ছিল মনোমুগ্ধকর। মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ১৯ রান করেছেন দেখেশুনে ধীরস্থির থেকে। তাতেই সব পাওয়া হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
তবে সব পাওয়ার দিনে আক্ষেপ হয়ে থাকতে পারে ছন্দহীন বোলিং। বাড়তি ঠান্ডায় বোলিং ছিল একেবারে নিরামিষ। মুস্তাফিজ ৫ ওভারে ব্যয় করেছেন ৫০ রান। সাইফউদ্দিন ৫ ওভারে ২৯, মাশরাফি ৬ ওভারে ২৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করা শাই হোপের উইকেটটি পেয়েছেন মিরাজ। এ ছাড়া ক্যারিবীয়দের হয়ে ব্যাট হাতে ৬৯ রান করে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সুনীল অ্যামব্রিস।
বৃষ্টি আর্শীবাদ হয়ে এসেছিল না কি অভিশাপ, তা বলা মুশকিল! তবে যে কারণেই আসুক না কেন, তাতে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো আর আটকাতে পারেনি। বরং বৃষ্টির সুবাদে সৌম্য-মোসাদ্দেকের ব্যাটিং ঝড় বেশ ভালোই উপভোগ করেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
কোন মন্তব্য নেই