পণ্যে ভেজাল, বাতিল প্রাণের ৩টি দ্রব্যের লাইসেন্স
প্রাণ (PRAN) কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করল জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। খাদ্যে ভেজালের কারণে এই লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ভারতেও বাজার দখল করেছে বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানি। বিশেষ করে ত্রিপুরা-সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রাণের ব্যবসা রমরমা। কলকাতায়ও প্রাণের পণ্য মেলে। বিএসটিআই প্রাণ-সহ আরও ১৮টি পণ্যের সনদ বাতিল করেছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে তুলে নিতেও বলা হয়েছে।
বুধবার বিকালে বিএসইটির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে নিষিদ্ধ ৫২টি খাদ্যপণ্যের তালিকা থেকে ২৫টির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল। পর্যায়ক্রমে আরও ২৭টি পণ্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএসটিআইর পরিচালক প্রকৌশলী এসএম ইসহাক আলি বলেন, ৭টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এসব পণ্য না কেনার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। প্রাণের গুঁড়ো হলুদ, কারি পাউডার এবং লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিল তালিকায় আরও রয়েছে- বনলতা সুইটসের ঘি, শবনম ভেজিটেবলের পুষ্টি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, ড্যানিশ ফুডের হলুদের গুঁড়ো ও কারি পাউডার, মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োডিনযুক্ত লবণ, এসিআই ফুডের ধনে গুঁড়ো ও আয়োডিন যুক্ত লবণ, নিউজিল্যান্ড ডেয়ারি প্রোডাক্টের নুডলস (স্টিক) এবং কাশেম ফুড প্রোডাক্টের সান ব্র্যান্ডের চিপস।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে শুক্রবার, ১৭ মে-র মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে তুলে নিতে হবে। বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় নিম্নমানের প্রমাণিত হওয়ায় প্রাণের গুঁড়ো হলুদ, কারি পাউডার, লাচ্ছা সেমাই-সহ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের ৫২টি খাদ্যপণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রি ও সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই