‘হিটলারের সময়ে ফেসবুক থাকলে তার বিজ্ঞাপনও অনুমোদন করতো ফেসবুক’
সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক কোম্পানি ফেসবুকের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শাণিয়েছেন দ্য আলি জি তারকা হিসেবে পরিচিত সাশা ব্যারোন কোহেন। নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় অর্থহীন বিষয়ের দিকে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে গুগল, টুইটার ও ইউটিউব ঠেলে দিচ্ছে বলেও তিনি সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, যদি অ্যাডলফ হিটলারের সময়ে ফেসবুক থাকতো তাহলে ইহুদিবিদ্বেষী বিজ্ঞাপন প্রচারও অনুমোদন করতো তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
রাজনৈতিক ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত, বিভিন্ন দেশ থেকে। এমন প্রবণতা কমিয়ে আনতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ বাড়ছেই। অক্টোবরে টুইটার ঘোষণা করে যে, ২২ শে নভেম্বর থেকে তারা সারাবিশ্বে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে গুগল বলেছে, ভুল তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন অনুমোদন করবে না তারা। এমন তথ্য দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হয়। বিশ্লেষকরা বলেন, এই ধারা অনুসরণ করতে ফেসবুকের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এন্টি ডিফেমেশন লিগ’স নেভার ইজ নাউ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ব্যারোন কোনে। তিনি সেখানেই ফেসবুককে একহাত নেন। সমালোচনা করেন ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গের। জাকারবার্গ অক্টোবরে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন এবং মিথ্যা তথ্য সম্বলিত তথ্য প্রচার বন্ধ না করায় তার কোম্পানির অবস্থানের পক্ষে কথা বলেন। এর জবাবে কোহেন বলেন, যদি আপনি টাকা দেন তাহলে যে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনই দিতে চান দিতে পারবেন, হোক তা মিথ্যা। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রভাব সৃষ্টিতে তারা ব্যবহারকারীদের সহায়তা করবে। তাদের এই রকম যুক্তির প্রেক্ষিতে যদি ১৯৩০ এর দশকে ফেসবুক থাকতো তাহলে ইহুদি সমস্যার সমাধান নিয়ে ৩০ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে তারা অনুমোদন দিতো হিটলারকে।
ব্যারোন কোহেন বলেন, সামাজিত মিডিয়া এবং কিভাবে সেখান থেকে ঘৃণা, ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা ছড়িয়ে দেয়া হয় সে বিষয়ে মৌলিক চিন্তার সময় এসে গেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আমার মনে হয়, ধর্মান্ধ ও যৌন শিকারীদের তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি উন্মুক্ত প্লাটফরম হতে পারে না এসব মাধ্যম। এসব দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দিয়ে ওইসব ব্যক্তি তাদের শিকারকে টার্গেট করে। তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটায়। তবে কোহেনের এমন মন্তব্যের কোনো জবাব দেয় নি ফেসবুক।
কোন মন্তব্য নেই