পাকিস্তানের কাছে হেরে রানার্সআপ বাংলাদেশ
ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। আজ (শনিবার) মিরপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৭৭ রানে পরাজিত হয় যুব টাইগাররা। ৩০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩.৩ ওভারে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইমার্জিং এশিয়া কাপে প্রথম সাফল্য পেলো পাকিস্তান। এর আগে দুবার রানার্সআপ হয়েছিল তারা।
রান তাড়া করতে নেমে ৪২ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। নাঈম শেখ ১৬ ও ইনফর্ম সৌম্য সরকার ১৫ রান করে আউট হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত-ইয়াসির আলীর জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৯২ রানে আউট হন ইয়াসির (২২)।
এরপর দেখতে দেখতে ১৪৭/৬ হয়ে যায় স্বাগতিকদের স্কোর। শান্ত ৪৬, জাকির হোসেন ৯ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫ রান করে ফেরেন। আফিফ হোসেন ধ্রুব চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৯৫ ও ব্যক্তিগত ৪৯ রানে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। ২৯ রানে বাকি তিন উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। পকিস্তানের জাতীয় দলে খেলা পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ৩ উইকেট নেন। খুশদিল শাহ ও সাইফ বদর, প্রত্যেকের শিকার ২ উইকেট।
মিরপুরে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুমন খান শুরুতে পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন। ৪১ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আর দুটিই শিকার করেন সুমন। এরপরে রফিককে নিয়ে ১১৭ রানের বড় জুটি গড়েন রোহাইল নাজির।
১৫৮ রানে ব্যক্তিগত ৬২ রান করে মেহেদির শিকার হোন রফিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক সৌদ সাকিলকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন সেঞ্চুরিয়ান নাজির।দলীয় ২৪৩ রানে সাজঘরে ফেরেন নাজির। ১১১ বলে ১১৩ রান করেন তিনি। শেষদিকে খুসদিল শাহ ও আমাদ বাটের ছোট ঝড়ো ইনিংসে ৩০০ পার করে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে সুমন খান সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। তবে ৭৫ রান খরচ করেন এই বোলার। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে খরুচে বোলার সৌম্য সরকার; ১০-০-৭৬-০। হাসান মাহমুদ তুলে নেন ৫২ রানে ২ উইকেট।
কোন মন্তব্য নেই