‘এদের ক্ষমা করা যায় না’, নির্ভয়া মামলায় ফাঁসি প্রসঙ্গে সুবোধ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

‘এদের ক্ষমা করা যায় না’, নির্ভয়া মামলায় ফাঁসি প্রসঙ্গে সুবোধ







 নির্ভয়া কাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির দিন করল আদালত। ২০ মার্চ নির্ভয়া মামলায় দোষীদের ফাঁসির দিন ধার্য করল দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। ওই দিন ভোর ৫টায় ফাঁসি হবে ৪ দোষীর। সেই ভয়াবহ ঘটনা মনে পড়লে শিউরে ওঠে অনেকেই। সেই সময় সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। রাস্তায় নেমে এসেছিলেন সমস্ত স্তরের মানুষ। ঘটনাটি এখনও বিচলিত করে কবি সুবোধ সরকারকে।
নির্ভয়া কাণ্ডের পর তিনি ‘রজনীগন্ধা কফিন’ নামের একটি কবিতা লিখেছিলেন। যা সেই সময় দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। শুধু তখন নয়, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বহু নামযাদা বাচিকশিল্পী এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন সেই কবিতা। নির্ভয়া কাণ্ডের কথা মনে করে একবার কেঁপে ওঠেন সুবোধ।






তিনি বলেন kolkata24x7-কে বলেন, “দিল্লির মেয়েটিকে নিয়ে সেই সময় সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল, রাষ্ট্র ব্যবস্থা উত্তাল হয়েছিল। সমস্ত মানুষ ধর্ষকদের ফাঁসি চেয়েছিল। আমি তখন ‘রজনীগন্ধা কফিন’ কবিতাটা লিখেছিলাম। কবিতাটা আমি লিখেছিলাম খুব বেদনা থেকে। লিখতে লিখতে চোখে জল এসে গিয়েছিল। আজ দু’চোখের জল মুছবে দোষীরা শাস্তি পেলে।”
‘রজনীগন্ধা কফিন’ কবিতাটিতে সুবোধ সরকার লেখেন, “তোমাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি দামিনী।/ সারা দেশ জুড়ে আমরা কেঁদেছি, সারা দেশ জুড়ে আমরা ফুঁসেছি।/ ভারত রাষ্ট্র বাঁচাতে পারেনি তোমাকে–/ জনজোয়ারের চাপে মাথা নিচু করেছে অশোকস্তম্ভ।/ দেশের বাইরে পাঠিয়ে তোমাকে ফেরৎ আনতে পারিনি।/ ফেরৎ আনতে পারিনি তোমাকে দামিনী/ ফেরৎ এসেছে রজনীগন্ধা কফিন, ফেরত এসেছে আমার ভারতকন্যা/ আমার মেয়েটি তেরো দিন ধরে মৃত্যু সরাতে সরাতে/ তেরো দিনে হল অনন্যা।”
ধর্ষকদের শাস্তি প্রসঙ্গে সুবোধ সরকার বলেন– “আমি ব্যক্তিগত ভাবে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের পক্ষে নই। কিন্তু, আমি বিশ্বাস করি এই ভয়াবহ ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল, তাদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়াই উচিৎ। এ শুধু একটা ধর্ষণ নয়, মারাত্মক জিনিস ঘটিয়েছিল। এত নৃশংস যে কল্পনা করা যায় না। একটা লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেয়েটির শরীরে। এ আমি ভুলতে পারি না। এদের ক্ষমা করা যায় না।”






সুত্র : কলকাতা ২৪x৭

কোন মন্তব্য নেই