'ধর্ষণ শেষে হত্যার শিকার' কিশোরীর ফেরা: বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ
একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই ঘটনার এফআইআর, জবানবন্দি, ভিকটিম, আসামি সবার বক্তব্য দিয়ে প্রতিবেদন ৪ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে দাখিলেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। নিখোঁজের প্রায় দুই সপ্তাহ পর গত ১৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিখোঁজের জিডি করেন তার বাবা।
এরপর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন তিনি। একপর্যায়ে মেয়েটির মায়ের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করে রকিবের খোঁজ পায় পুলিশ। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ ওই ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করত। ঘটনার দিনও ওই নম্বর দিয়ে কল করে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আলাদা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামিরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, জিসাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।
এর পর ২৫ আগস্ট ওই স্কুলছাত্রীর অন্তর্ধানকাণ্ডের সংশ্লিষ্ট মামলার নথি তলব চেয়ে গত হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। আবেদনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করা মামলা এবং মামলা-পরবর্তী কার্যক্রমের বৈধতা ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ওই পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
সাবেক তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
আবেদনকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন। আবেদনে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বাদী ও আসামিদের বিবাদী করা হয়।
২৭ আগস্ট শুনানি শেষে ওই ছাত্রীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় সাবেক তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার নথিসহ হাজির হতে হওয়ার নির্দেশ দেন বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তাকে। সে অনুসারে তারা হাজির হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর ব্যাখ্যা দেন। এরপর আদালত ২৪ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

কোন মন্তব্য নেই