যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, বিকেল ৪:৪৭
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন লাখো মানুষ। ‘নো কিংস’ (কোনো রাজা নয়) স্লোগান নিয়ে আয়োজিত এই আন্দোলনে আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের একনায়কতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো ও লস অ্যাঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোতে শনিবার দিনভর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার ও আশপাশের সড়কজুড়ে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে ‘ডেমোক্রেসি নট মনার্কি’ ও ‘দ্য কনস্টিটিউশন ইজ নট অপশনাল’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানায়, শহরের পাঁচটি এলাকায় প্রায় এক লাখ মানুষ জড়ো হলেও গ্রেফতারের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভ চলাকালে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “এরা আমাকে রাজা বলছে, আমি রাজা নই।” তবে সমালোচকরা বলছেন, হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্পের কিছু সিদ্ধান্ত একনায়কতান্ত্রিক আচরণের পরিচায়ক। তিনি নির্বাহী আদেশে ফেডারেল সরকারের কিছু অংশ ভেঙে দেন এবং গভর্নরদের আপত্তি সত্ত্বেও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন।
বিক্ষোভের আগে ভার্জিনিয়া ও টেক্সাসে ন্যাশনাল গার্ড প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ডেমোক্র্যাট নেতা জিন উ সমালোচনা করে বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন রাজারা করে থাকেন।”
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল আন্দোলনকারীদের ‘অ্যান্টিফা’ বা অতি-বাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করে এই বিক্ষোভকে “আমেরিকাবিরোধী সমাবেশ” হিসেবে আখ্যা দেয়।
সিনেটে সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার, সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, কোরি বুকার, অ্যাডাম শিফ ও ক্রিস মারফি বিক্ষোভে অংশ নেন। সিনেটর মারফি বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের দিন।”
এ আন্দোলন কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; ইউরোপের বার্লিন, মাদ্রিদ ও রোমে, ব্রিটেনের লন্ডনে এবং কানাডার টরন্টোতেও সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
রয়টার্স/ইপসোসের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের কার্যক্রমে ৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক সমর্থন জানালেও ৫৮ শতাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন — যা তার প্রথম মেয়াদের জনপ্রিয়তার কাছাকাছি।

কোন মন্তব্য নেই