সহজেই শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে কিছু অভ্যাস বদলান - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সহজেই শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে কিছু অভ্যাস বদলান


বাড়তি মেদ কেবল ফ্যাশনেরই অন্তরায় নয়, ধীরে ধীরে এটি শারীরিক সমস্যাও তৈরি করতে শুরু করে। যারা ভাবেন, এই সমস্যার মুক্তির পথ অনেক দীর্ঘ ও জটিল, তাদের জন্য সুখবর। কয়েকটি সহজ নিয়মকে অভ্যাসে পরিণত করলেই ওবেসিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব চিরতরে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ
শরীর ঠিক রাখতে খাওয়া কমিয়ে দেয়া একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তার চেয়ে পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই শরীরের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ফাস্ট ফুড বা তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে সতেজ ফল, সবজি, লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরের ক্ষতির পরিবর্তে হবে উপকার।
নাশতা বাদ না দেয়াঃ
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অন্যতম গোপন রহস্য হলো স্বাস্থ্যকর নাশতা। প্রতিদিনের নাশতা প্রতিদিন ঠিকমতো করা উচিৎ প্রত্যেকেরেই। এতে করে দিনভর ছোট ছোট ক্ষুধা আপনাকে বাধ্য করবে না অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। তাছাড়া আগের রাতের খাওয়ার পর সকালের নাশতার মধ্যে অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার তফাৎ থাকে। এতে শরীরের পেশিগুলো হয়ে পড়ে দুর্বল। সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেও সকালে পেটপুরে খাওয়া উচিৎ।
প্রচুর পানি পান করুনঃ
গবেষণায় প্রমাণিত দিনে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করাটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা কমে।
সক্রিয় হোন শারীরিক কার্যক্রমেঃ
শারীরিক কাজকর্মে সক্রিয় না হওয়াটা ওবিসিটির অন্যতম বড় কারণ। অফিসে বা ঘরে, সারাদিন যদি বসে বসেই কাজ করতে হয়, সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকরই বটে। দিনের কোনো একটি সময়ে আধঘণ্টার জন্য হাঁটলে কিংবা ঘরেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলে, শরীরে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা কমে।
দূর করুন মানসিক অবসাদঃ
মানসিক অবসাদ কিংবা বিষন্নতা মনের পাশাপাশি প্রভাব ফেলে শরীরের উপরেও। এতে করে দেহের পরিপাকক্রিয়ার গতি শ্লথ হয়ে যায়, যা মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। শরীরকে ফিট রাখতে হলে তাই মনকেও রাখতে হবে তরতাজা।
ভালো ঘুমঃ
ঘুমন্ত অবস্থায় মানব-শরীর নানা ধরণের গ্রোথ হরমন এবং পরিপাকক্রিয়াকে সচল রাখার হরমন নিঃসৃত হয়। তাই সঠিক সময়ে ভালো ঘুম সবসময়ই শরীরের বাড়তি মেদকে ঝরাতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকের কথা মেনে চলাঃ
একটা বয়সের পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একমাত্র আপনার চিকিৎসকই শরীরের অবস্থা বুঝে আপনাকে বলে দিতে পারবেন সঠিক পন্থায় জীবন-যাপনের নিয়ম।
ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকাঃ
তামাক হজমে সহায়ক এনজাইম সৃষ্টিতে বাধাদান করে। মদের কারণেও শরীরে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা আসতে পারে। ফিট থাকতে চাইলে এই দুটি বস্তু থেকে দূরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
না খেয়ে ডায়েট না করাঃ
যে সব ডায়েটে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার নিয়ম রয়েছে, এড়িয়ে চলুন সেসব ডায়েট। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরে এমনিতেই খাদ্যের বড় ধরণের চাহিদার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এমন অনিয়ম দিনের পর দিন চলতে থাকলে শরীরে পুষ্টিগুণের ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই