চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কাঠামো কার্যকর, বাড়ছে আমদানি-রপ্তানি খরচ

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কাঠামো কার্যকর, বাড়ছে আমদানি-রপ্তানি খরচ
সংবাদ প্রতিবেদন:
নিজস্ব প্রতিবেদক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
১৪ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কাঠামো কার্যকর হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে। নতুন কাঠামো অনুযায়ী গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ছে বিভিন্ন সেবার খরচ, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে আমদানি-রপ্তানি খাতে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে গড়ে ৩৯ ডলার (প্রায় ৪ হাজার ৪০০ টাকা) বেশি দিতে হবে। সর্বোচ্চ বাড়তি খরচ হতে পারে ৬০ ডলার পর্যন্ত।
বর্তমানে ২০ ফুট কনটেইনারে মাশুল আদায় করা হয় গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। নতুন হার কার্যকর হলে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বাড়বে, ফলে মোট মাশুল দাঁড়াবে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কনটেইনারে মাশুল ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিপিং কোম্পানিগুলোও ইতোমধ্যে নতুন চার্জ ঘোষণা করেছে। ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক লাইন তাদের টার্মিনাল হ্যান্ডলিং চার্জ ২০ ফুট কনটেইনারে ১২০ ডলার থেকে ১৬৫ ডলার করেছে। ৪০ ফুট কনটেইনারের ক্ষেত্রে এই চার্জ ২০৫ থেকে ৩১০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে সিএমএ সিজিএম, সিএনসি ও এএনএল ২৬ অক্টোবর থেকে প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে ৪৫ ডলার সারচার্জ আদায়ের ঘোষণা দিয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নতুন মাশুলে প্রতিটি কনটেইনারের গড় খরচ দাঁড়াবে প্রায় ১৮৬ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাশুল বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কনটেইনার পণ্যে। খোলা বা বস্তাবন্দি পণ্যে তুলনামূলকভাবে প্রভাব কম হলেও তেল, চিনি, গম, ইস্পাত, সিরামিকসহ উৎপাদনমুখী শিল্পখাত ও ভোগ্যপণ্যের বাজারে চাপ বাড়তে পারে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন পর এই সমন্বয় করা হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বলছে, হঠাৎ এই ব্যয় বৃদ্ধি সরাসরি পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করবে।
কোন মন্তব্য নেই