স্বপ্ন নয়, চড়া রোদেও গলবে না আইসক্রিম
আসছে গরমের দিন৷ ফেব্রুয়ারির মাঝখানেই ধীরে ধীরে হট হয়ে যাবে কলকাতা৷ বাড়বে ঠাণ্ডার চাহিদা৷ মনে করুন, আপনি চড়া রোদে দাঁড়িয়ে একটা আইসক্রিম খাচ্ছেন৷ বেশি তারিয়ে খেতে গিয়েই বিপদ- পুরোটা গলে জল হয়ে গেল৷ তখন ?
এরকমই বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে দ্রুত৷ কারণ, আসছে এমন আইসক্রিম যা রোদেও গলবে না৷ স্বপ্ন নয় সত্যি! ঘরের স্বাভাবিক উষ্ণতায় এই বিশেষ ধরনের আইসক্রিম ৩ ঘণ্টা গলবে না৷ বুঝুন কাণ্ড৷
এমন আইসক্রিম এসেছে জাপানে৷ তবে এই প্রসঙ্গে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো৷ এই আইসক্রিম কিন্তু বহু খেটে, দিনের পর দিন ঘাম ঝরিয়ে তৈরি হয়নি৷ নেহাত দুর্ঘটনাবশতই বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে এই ফর্মুলা৷

জাপানের বিজ্ঞানীদের এনিয়ে প্রশ্ন করা
হয়েছিল৷ তাঁরা এমন কী করলেন, যাতে কোটি কোটি মানুষের বাসনা পূর্ণ হল?
প্রবল গরমেও আইসক্রিম গলে মিল্কশেক হবে না৷ এ তো বিশাল ব্যাপার৷ বিজ্ঞানীরা
তখন জানান, ২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে স্ট্রবেরি চাষকারীদের বিশাল
ক্ষতি হয়েছিল৷ তাদের সাহায্য করার জন্য স্ট্রবেরি থেকে পলিফেলন তরলের
নির্যাস বের করে নেওয়া হয়৷ সেটি ব্যবহার করে এক শেফকে ডেজার্ট তৈরি করতে
বলা হয়৷ ঘটনা শুনে খুব হতাশ হয়ে পড়ে সেই শেফ৷ বিজ্ঞানীদের সে বলেছিল সে
সেই পলিফেলন ডেয়ারি প্রোডাক্টে ব্যবহার করলে দ্রুত সেটি জমাট বেঁধে যাবে৷
কারণ এই পদার্থ তেল ও জলকে আলাদা হতে বাধা দেয়৷ ফলে আইসক্রিমের আকার
বদলায় না বা আইসক্রিম গলে যায় না৷

শেফ তো বিষয়টি নিয়ে খুব হতাশ ছিল৷
কিন্তু ফর্মুলাটি অনেক কোম্পানি লুফে নেয়৷ কানাজাওয়া, ওসাকা, টোকিওর মতো
শহরে এই পদ্ধতিতেই তৈরি হতে শুরু করে আইসক্রিম৷ আর বলা বাহুল্য, সেটি
জনপ্রিয়ও হয় “গরমে ছটফট, ক্যালকাটা ভেরি হট ” আসছে সেই দিন৷
মার্চ-এপ্রিলে প্যাচপ্যাচে গরমে আইসক্রিম তো বনতা হ্যায়৷
সূত্র


কোন মন্তব্য নেই