রাজশাহী নগরীর স্টেশন থেকে তালাইমারি পর্যন্ত সড়কটি তে চলাচলে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

রাজশাহী নগরীর স্টেশন থেকে তালাইমারি পর্যন্ত সড়কটি তে চলাচলে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে



রাজশাহী নগরীর স্টেশন থেকে তালাইমারি পর্যন্ত দুই লেনের সড়কটি নগরবাসীর বহুল ব্যবহৃত ও জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। খানা-খন্দের কারণে বহুদিন থেকেই এই সড়কটি দিয়ে চলাচলে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সম্প্রতি সড়কটি সংস্কারের জন্য অভিজ্ঞ একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি তাদের কাজও শুরু করে দিয়েছে। তবে ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ দুই লেনের সড়কটির এক দিক ঠিক না করে একত্রে দুই ধারের কাজ শরু করায় তাদের এখন এই সড়কদিয়ে চলাচলই দুরহ হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া।
সরেজমিনে নগরীর ভদ্রা স্মৃতি অম্লান এলাকার সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, এই সড়কটির এক ধারে দূর পাল্লার বাস, অন্য প্রান্তে অটো সারিবদ্ধ হয়ে দাড়া করান রয়েছে। ফলে প্রশস্থ এই সড়কটি এমনিতেই সরু হয়ে পড়েছে। এখানে এই চিত্রটি প্রতিদিনে।
তালাইমারি দিক থেকে শুভ পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত সড়কের এই ধারটি সম্প্রতি সংস্কারের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেজার দিয়ে খুড়ে রেখেছেন। ফলে সড়কের এই ধার দিয়ে যান চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই সড়ক ব্যবহারে কোনরূপ নিয়ম মানা হচ্ছে না। যান চলাকদের বাধ্য হয়েই রং সাইড ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে সড়কটির একটি ধার সংস্কার না করেই অপর ধারটি নতুন করে ড্রেজার দিয়ে খনন করা শুরু হয়েছে। এতে করে এই সড়কটি দিয়ে যান চলাচল এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
ভদ্রা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় দুই কিলোমটিারের এই সড়কটি রাজশাহীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেন ও বাসের সকল যাত্রী এই সড়কটি ব্যবহার করে। এমনকি রুয়েট, রাবি ও আশপাশের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরাও এই সড়ক ব্যবহার করে। সড়কটি বহুদিন থেকেই এভাবে ভাঙে চুড়ে পড়েছিল। তখন যাওবা চলাচল করা যাচ্ছিল; এখন কাজ শুরু হবার পর এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল একরকম বন্ধের পর্যায়ে।
ব্যাটারি চালিত অটোর এক যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই সড়কে নতুন দুর্ভোগ! আগে ছিল ভাঙা এখন শুরু হয়েছে সড়কের দুই ধার বন্ধ করে খোড়াখুড়ি। এখন স্টেশন যেতে বালিয়া পুকুরের রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এই সড়কটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে রিক্সা ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে।
একজন বাস চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়কটি দুই লেনের। এক ধারের কাজ ঠিক না করেই নতুন করে আরেক ধার খোড়াখুড়ি শুরু করেছে। এখন আমরা কোনদিক দিয়ে বাস নিয়ে যাবো! নগরবাসীর দাবি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির দুই ধার একত্রে কাজ শুরু না করে, একটি ধারের কাজ শেষ করে অন্য ধারের কাজ শুরু করা হোক।


TE/SS

কোন মন্তব্য নেই