আমীর খসরু এক দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের এক নেতার করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে একদিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমীর খসরুর আইনজীবী মফিজুল হক ভ‚ইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দুই দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। গত ২১ অক্টোবর এ মামলায় জামিন নাকচ করে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীক কারাগারে পাঠিয়েছিল আদালত।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষাথীের্দর আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে আমীর খসরুর কথিত ফোনালাপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩/৫৭ (২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় দায়ের
করা এ মামলায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তঘার্তমূলক’ কমর্কাÐে জড়িত থাকা এবং ‘উসকানি’ দেয়ার অভিযোগ আনা হয় খসরুর বিরুদ্ধে।
মামলা হওয়ার পর খসরু হাইকোটের্ গেলে তাকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেয়া হয়। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে গত ৭ আগস্ট তিনি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। সেদিন শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা তাকে ২১ অক্টোবর পযর্ন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এর ধারাবাহিকতায় আমীর খসরু ২১ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে আবারও মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানি শেষে আমীর খসরুর আইনজীবী বলেন, আমরা শুনানিতে বলেছি, এখন পযর্ন্ত ওই টেলিফোন রেকডের্র কণ্ঠস্বর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সে কারণে রিমান্ডের যুক্তি নেই। আইনজীবী মফিজ জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আমীর খসরুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষারও আবেদন করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী বিচারকের কক্ষে তাকে কাগজ দিয়ে পড়তে বলা হলে আমীর খসরু তা পড়তে অস্বীকৃতি জানান।

কোন মন্তব্য নেই