জঙ্গী দমনে মাঠে নামতে প্রস্তুত আরএমপির সিআরটি
জঙ্গি দমনে মাঠে নামতে এখন পুরোপুরি প্রস্তত রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি)। জর্ডানে প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শেষে রাজশাহীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণও শেষ করেছে দলটি। আমেরিকার বিখ্যাত বাহিনী সোয়াত টিমের মতো আরএমপি’র বিশেষ এই দলটি জঙ্গিবাদ দমন ছাড়াও মাদকবিরোধী অভিযানে ভূমিকা রাখবে।
দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে দলটি আরএমপি পুলিশ লাইনসে মহড়ায় অংশ নেয়। মহড়া শেষে দলের সদস্যদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। এ সময় আরএমপির উপকমিশনার আমির জাফর, মুহাম্মদ সাইফুলসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সনদ বিতরণ শেষে আরএমপি কমিশনার সিআরটি গঠন ও এর কার্যাবলি তুলে ধরে প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বিশেষ এই বাহিনী গঠন করা হলো। এরা শুধু বিশেষ প্রয়োজনে অপারেশনে অংশ নেবে। মূলত জঙ্গি দমন, জিম্মি উদ্ধার ও মাদকবিরোধী বড় অভিযানে এই দল কাজ করবে। শুধু রাজশাহী মহানগর নয়, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের যে কোনো স্থানে অভিযান চালাতে প্রস্তুত আরএমপির এই বিশেষ দল।
বর্তমানে সিআরটির সদস্য সংখ্যা ২৩ জন। এদের নেতৃত্বে আছেন আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুর রশিদ। এছাড়া দলে আছেন- দুজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার, দুজন পরিদর্শক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), দুজন নায়েক এবং ১০ জন চৌকশ কনস্টেবল। দলের সদস্যরা গত ৮ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত একমাস জর্ডানে ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটিএ তাদের তত্ত্বাবধান করেছে। প্রয়োজনে সিআরটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
সিআরটির প্রধান আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুর রশিদ বলেন, জর্ডানে কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। জরুরী মুহূর্তে যা যা দক্ষতা থাকা প্রয়োজন তার সবই আমরা শিখেছি। এখন আমরা মাঠে নামতে পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা মামলা সংক্রান্ত কোনো কাজ করব না। শুধু বিশেষ বিশেষ অভিযানেই অংশ নেব।

কোন মন্তব্য নেই