‘নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেছে’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাদের প্রতি নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেছে। গ্রামগঞ্জে ভোটের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন আর অন্য কোনো বিকল্প ভাবার সময় নেই।ভোটের লড়াইয়ে না এসে বিকল্প পথ খোঁজার চিন্তা পরিত্যাগ করতে তিনি এ সময় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের প্রতি পরামর্শ দেন।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নব-নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফনার্সদের চাকরিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিম বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে, জনগণের উপরও আস্থা রাখতে হবে। ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণকে রায় দেয়ার সুযোগ দিন। মানুষ যে রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চক্রান্ত করলে কোনোভাবেই সরকার তা সহ্য করবে না।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করতেই হবে। এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে যারা বের হতে চান তারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি চায়। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের নামে নির্বিচারে জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে বলে তাদের আজকের অবস্থানের ওপর সাধারণ মানুষের সমর্থন নাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সংলাপ করে দেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক উদারতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ছোট-বড় সব দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংলাপ হয়েছে।অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগে পদায়নকৃত নার্সরা যোগ দেন। পাশাপাশি দেশের অন্য সাত বিভাগেও পদায়ন হওয়া নার্সরা একই সময় চাকরিতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এ বছর ৫ হাজার ৯২ জন সিনিয়র স্টাফনার্স নিয়োগ পান, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যক নার্স নিয়োগের ঘটনা। এর আগে বর্তমান সরকারের সময়েই ২০১৬ সালে প্রায় ১০ হাজার নার্স সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিয়োগ পান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নার্সদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। তারই নির্দেশনায় গত তিন বছরে দুই দফায় প্রায় ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতালগুলোর নার্স সংকট দূর করেছে সরকার। বর্তমান সরকারই দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম সংখ্যক ৬ সহস্রাধিক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। আরও ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। স্বাস্থ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করে সরকার বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নবনিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতা দিয়ে রোগীর সেবা দিন। রোগী তার পাশে একজন হৃদয়বান চিকিৎসক ও মমতাময়ী নার্স পেলে মানসিকভাবে চাঙা থাকে। তাই আপনারা রোগীদেরকে নিকট স্বজন মনে করে সর্বোত্তম সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।

কোন মন্তব্য নেই