ইসরাইলে বিনিয়োগ খুবই জটিল! ঝুঁকি নেয়াটা পোষায় না টোটাল
ফ্রান্সের জ্বালানী কোম্পানি টোটালের প্রধান নির্বাহী ইহুদিবাদী ইসরাইলে বিনিয়োগ করা খুবই জটিল বলে মন্তব্য করায় ইহুদিবাদী নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
টোটালের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক পুইয়ান সম্প্রতি ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইল এতটা বড় নয় যে সেখানে বিনিয়োগের জন্য নানা ধরনের ঝুঁকি নেয়া যায়। ইসরাইলের পরিস্থিতি খুব বেশি জটিল হওয়া ছাড়াও (মধ্যপ্রাচ্যে) ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ নানা কারণে ইসরাইলে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্যাট্রিক পুইয়ান পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যে টোটালের নানা বিনিয়োগকেও ইসরাইলে এই কোম্পানির বিনিয়োগের পথে বড় বাধা হিসেবে তুলে ধরেন।
ইসরাইলের জ্বালানীমন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিৎজ টোটাল-প্রধানের এই মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, গুগল, লকহিড মার্টিন ও বোয়িং ইসরাইলে বিনিয়োগ করায় আরব বিশ্বে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। কেউ ইরানের প্রতি আগ্রহী হলেই কেবল ইসরাইলে বিনিয়োগ এড়াতে চাইতে পারে বলে ইসরাইলি মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
ইসরাইলের গ্যাস ফিল্ডগুলো পরিচালনার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু ফ্রান্সের টোটাল কোম্পানি ছাড়াও গ্যাস খাতের বড় বড় অন্য বিনিয়োগকারীরাও ইসরাইলে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। কারণ এ অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই অনিশ্চয়তাপূর্ণ।
গ্যাস খনি নিয়ে লেবাননের সঙ্গে ইসরাইলের বিরোধ রয়েছে। গত বছর লেবানন তার নয় নম্বর ব্লকসহ কয়েকটি জ্বালানী ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের জন্য ফ্রান্সের টোটাল, ইতালির ইনি ও রাশিয়ার নোভাটেক তেল-গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। লেবাননের নয় নম্বর গ্যাস-ব্লকের মালিকানা নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে।
টোটাল ২০১৭ সালে ইরানের একটি গ্যাস ব্লকের উন্নয়নের জন্য কয়েকশত কোটি ডলার মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও মার্কিন সমর্থনের অভাবে কয়েক মাস পরই ওই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে। অবশ্য এখন সেখানে টোটাল কোম্পানির পরিবর্তে কাজ করবে চীনের সিএনপিসি।-পার্সটুডে

কোন মন্তব্য নেই