পাকিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে না
পাকিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে কোন সন্ত্রাসী দলকে কাজ করতে দেয়া এবং বিদেশের মাটিতে হামলা করার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শুক্রবার পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এক জনসমাবেশে ইমরান খান বলেন, ‘ যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না এই সরকার’।
পাকিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান ইমরান খান। তিনি উল্লেখ করেন, এখন থেকে কোন সন্ত্রাসী দলকে এদেশে কাজ করতে দেয়া হবে না। প্রসঙ্গত, পাক প্রধানমন্ত্রী এই ভাষণ দেয়ার একদিন আগে থেকেই দেশজুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর দমন অভিযান শুরু করে দিয়েছে তার সরকার।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর ৪৪ জন সদস্য নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ। এরপর থেকেই পাক-ভারত উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
হামলার ১২ দিনের মাথায় প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা করে ভারত। পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পরেরদিনই পাকিস্তান ভারতে বিমান হামলা করে। এর ফলে ভারতের একজন পাইলট পাকিস্তানের হাতে আটক হন। এহেন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ প্রতিবেশি দেশ দুটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।
তবে শান্তির নিদর্শন হিসেবে পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ইমরান খান মুক্তি দেন। ফলে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা হ্রাস পায়। এরপর জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহবান জানায়।
সোমবার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। এরই ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার ১৮২টি মাদ্রাসা সরকারী নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। এসব মাদ্রাসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলো পরিচালনা করতো। এছাড়া ১২০ জনের বেশী মানুষকেও আটক করা হয়।
এদিকে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পূর্ব পরিকল্পিত। ভারতের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তা করা হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই