প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আবাসিক সুবিধা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আবাসিক সুবিধা

দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসনের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম পর্যায়ে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষকদের জন্য আবাসন সুবিধা দিতে সেসব এলাকায় আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ স্তরের সব শিক্ষকের আবাসন সুবিধা গড়ে তোলা হবে।


মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকার অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা, উপবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচি চালুর পরেও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জিত হচ্ছে না। শিক্ষক অনুপস্থিতির কারণে এসব এলাকায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমছে না। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে দুর্গম এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আবাসন সংকট, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা কারণে দুর্গম (হাওর, পাহাড় ও চরাঞ্চল) অঞ্চলের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দিলে তারা সেখানে থাকেন না। নিয়মিত স্কুলে যান না। এসব এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে কিছু সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা, শিক্ষক নিয়োগে ওই এলাকার মানুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া। পিইডিপি-৪ (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) এর মাধ্যমে দ্রুত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাহাড়ি ঢলে হাওর অঞ্চল তালিয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশিরভাগ স্কুল পানিতে ডুবে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্ষা মৌসুমে দ্বীপগ্রামের স্কুলে যেতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় শিক্ষকদের। প্রায় বছরই হাওরে নৌকাডুবিতে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি ঘটছে।

২০১৭ সালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাংলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নৌকা ডুবে মারা যায়। এভাবে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে দুর্ঘটনার শিকার হয় হাওরের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আবার নভেম্বর মাস থেকে মে পর্যন্ত হাওরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পায় হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। যে কারণে হাওরের দুর্গম এলাকার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি বেড়ে যায়। পাহাড় ও চরাঞ্চলেও দুর্গম যোগাযোগের কারণে একই অবস্থা বিরাজ করছে। দুর্গম অঞ্চলে কর্মরত শিক্ষকদের প্রায় ৭০ ভাগ নারী শিক্ষক হওয়ায় এ সংকট তীব্র।



মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাওর এলাকায় ব্র্যাকের ভাসমান স্কুলগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা প্রাথমিক শিক্ষা এনজিওর হাতে তুলে দিতে পারি না। যে কারণে দুর্গম অঞ্চলের স্কুলে আবাসিক ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষামলূক হাওর এলাকা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দুর্গম অঞ্চলে চালু করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই