ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ফণী, কুয়াকাটা উপকূলে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি প্রশাসনের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ফণী, কুয়াকাটা উপকূলে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি প্রশাসনের

ঘুর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে এমন শঙ্কায় উপকূলীয় অঞ্চল কুয়াকাটা পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। ঘর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দর, কুয়াকাটাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় দক্ষিণের দমকা বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে দুই দফা হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 



এদিকে, উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে  সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, পুলিশ ,ফায়ার সার্ভিসসহ সেবাদানকারী সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার আগেই দুর্গত এলাকা থেকে যেন মানুষদের সরিয়ে নেয়া যায় এবং সকল সাইক্লোন শেল্টারগুলো ব্যবহার করা যায় সে জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়েছে জেলায় ৩৯১টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে।

জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১১১টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩৮৭ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য, ২৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিপিপি’র প্রায় ৬৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার আহবান জানাচ্ছে। এছাড়া জেলা খাদ্য বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসকে দুর্যোগ পরবর্তী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। নদী বন্দর কতৃপক্ষ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।



সেনাবাহিনীর চারটি টিম জেলার ৮টি উপজেলা দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করবে বলে সভায় জানানো হয়। জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।  জেলার বিভিন্ন উপজেলার সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

কোন মন্তব্য নেই