রিফাতের স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন, পিয়া জান্নাতুল - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

রিফাতের স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন, পিয়া জান্নাতুল


স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিফাতের নববধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা- সমালোচনা।

এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম মডেল এবং অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। তিনি লিখেছেন-

আমি বিশ্বাস করি কোন মানুষ জন্মগতভাবে খারাপ হয় না, ইচ্ছা করে কোন খারাপ কাজ করে না। সমস্যা যদি থাকে সেটা যেখান থেকে সে সমাজে মিশেছে, সে সমাজ হয়তো সঠিক শিক্ষাটা দিতে পারেনি।

আমরা সামাজিক শিক্ষার থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার উপর সব সময়ে জোর বেশি দিয়ে থাকি, সেটাও ঠিক আছে। যখন স্কুলে যাই কেনো, আমরা কি কি পড়ি? সমাজ, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম? এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি অনেক বেশি জরুরি, সামাজিক মূল্যবোধটা শেখা, কোনটা খারাপ, কোনটা ভালো তা হাতে-কলমে ধরানো এবং Etiquette, Mannerism.

আরেকটা ইস্যু আছে যে আমরা প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করি এখন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ারও Etiquette & Mannerism আছে। কারণ, একটা মানুষ আমার থেকে দূরে আছে, ধরা ছোঁয়ার বাইরে, তার মানে এই না যে সে আমাকে নিয়ে আমি উল্টা-পাল্টা কথা বলবে।

আমার মনে হয় সমাজ, বিজ্ঞান বা ইতিহাস সাবজেক্টগুলো থাকলেও তার পাশাপাশি সাবজেক্টগুলো বাধ্যতামূলক করা উচিত। সমাজ, বিজ্ঞান সাবজেক্টগুলো না থাকলেও একটা টাইম পর্যন্ত আমরা কিছু শিখতে পারবো। কিন্তু সামাজিক মূল্যবোধ বা মনুষ্যত্ব যদি না থাকে তখন সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও কিছু শেখা যায় না আর সামাজিক অবক্ষয়টা শুরু হয়।


আমার এখনও অবাক লাগছে, যে দেশ স্বাধীন করতে একটা generation রক্ত দিল, সেই দেশের এ কিছু মানুষ কাপুরুষ এর মত চরম অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস রাখে না।

আর একটা ব্যাপার হচ্ছে, একটা খারাপ কাজকে ঢাকার জন্য আর একটা খারাপ কাজ করা, একটা মিথ্যাকে ঢাকার জন্য আরও সাতটা মিথ্যা বলা।

এখন দেখলাম রিফাতকে সবার সামনে হত্যার ঘটনায়, তার স্ত্রীকে কালপ্রিট বানানোর চেষ্টা চলছে। মেয়েটার যদি কারও সঙ্গে অ্যাফেয়ার থেকেও থাকতো, এটা কেন মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, আমি বুঝলাম না।

এখানে ঘটনাটা দিনে-দুপুরে সবার সামনে একটা ছেলেকে নির্মমভাবে কোপানো হয়েছে, তো মেয়েটার কারো সঙ্গে অ্যাফেয়ার থাকে বা না থাকে, কি করেছে বা না করেছে – এটা নিয়ে কথা বলার কোন মানে আছে বলে আমার মনে হয় না। থাকলে থাকলো না থাকলে নাই। এটা তাদের ব্যক্তিগত প্রবলেম। কিন্তু যে ঘটনা সবার সামনে ঘটানো হয়েছে তা মর্মান্তিক! অসহনীয়।

সরকার এর বিচার করবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই, কিন্তু আসুন নিজেদের বিবেক, মনুষ্যত্ব, সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করি!!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

কোন মন্তব্য নেই