বায়ু দূষণের বিষয়ে আজ আদেশ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

বায়ু দূষণের বিষয়ে আজ আদেশ

ঢাকা মহানগরীর দুই সিটির বায়ু দূষণরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ুওপর আজ মঙ্গলবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। গত রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় বায়ু দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমরা গত সপ্তাহে আদালতে একটি আবেদন করেছি- এই মুহূর্তে জরুরি নির্দেশনা দরকার ধুলাবালি বন্ধে। সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে বায়ূ দূষণের মাত্রা, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং শীতকাল আসার আগে বায়ূ দূষণের মাত্রা যে বাড়ছে তার জন্য ওনারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট জমা দেয়। এ পর্যায়ে আমরা কোর্টকে জানাবো, এ বায়ূ দূষণ বন্ধ করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি এবং এ পদক্ষেপের কার্যকারিতা কী।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ু দূষণ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়ালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ এখন বাংলাদেশ। বায়ু দূষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের ধারে কাছেও নেই কোনো দেশ। প্রায় ২১ পিএম কম বায়ু দূষণ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এরপর ভারত, আফগানিস্তান, বাহরাইন। তাদের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে গড় বায়ু দূষণের পরিমাণ ৯৭ দশমিক ১০, যেখানে পাকিস্তানের ৭৪ দশমিক ২৭, ভারতের ৭২ দশমিক ৫৪, আফগানিস্তানের ৬১ দশমিক ৮০ এবং বাহরাইনের ৫৯ দশমিক ৮০ পিএম২.৫। এয়ার ভিজ্যুয়াল ঘণ্টায় ঘণ্টায় বায়ু দূষণের তথ্য হালনাগাদ করে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের মধ্যে ৫ নম্বরে ছিল ঢাকা। ওই সময় ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল ১৭১ পিএম। তখন ২০৯ পিএম নিয়ে প্রথমে ভারতের দিল্লি, তারপর ১৯২ পিএম নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর, ১৮৭ পিএম নিয়ে কলকাতা ও ১৮২ পিএম নিয়ে মঙ্গলিয়ার উলানবাতর চতুর্থ স্থানে ছিল। তীব্র বায়ু দূষণের ফলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সতর্কতা জারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই