জেনারেল সোলাইমানির সংক্ষিপ্ত জীবন
বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ পাঁচজন নিহত হন।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়া এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্সও।
আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ১৯৫৭ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান শহরের উপকণ্ঠে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর আইআরজিসিতে যোগদান করেন।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে জেনারেল সোলাইমানি কেরমানের ৪১ ‘সারুল্লাহ’ ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি ইরানের পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ওই অভিযানে তিনি মাদক চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে ইরানের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটান।
১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাকে আইআরজিসির কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। সে সময় ইরানের পূর্ব সীমান্তে উগ্র গোষ্ঠী তালেবান যে হুমকি সৃষ্টি করেছিল তার অবসান ঘটাতে সক্ষম হন তিনি।
২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি কাসেম সোলাইমানি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
এ সময় ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে এবং ভয়াবহ সব অপরাধযজ্ঞ সংঘটিত করে। জেনারেল সোলাইমানি কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে এ সময় এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রায় ছয় বছরের প্রচেষ্টার পর ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে লেখা এক চিঠিতে আইএসের খেলাফতের পতন হওয়ার সংবাদ প্রদান করেন।
সূত্র: আইআরআই।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়া এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্সও।
আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ১৯৫৭ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান শহরের উপকণ্ঠে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর আইআরজিসিতে যোগদান করেন।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে জেনারেল সোলাইমানি কেরমানের ৪১ ‘সারুল্লাহ’ ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি ইরানের পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ওই অভিযানে তিনি মাদক চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে ইরানের পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটান।
১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাকে আইআরজিসির কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। সে সময় ইরানের পূর্ব সীমান্তে উগ্র গোষ্ঠী তালেবান যে হুমকি সৃষ্টি করেছিল তার অবসান ঘটাতে সক্ষম হন তিনি।
২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি কাসেম সোলাইমানি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
এ সময় ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে এবং ভয়াবহ সব অপরাধযজ্ঞ সংঘটিত করে। জেনারেল সোলাইমানি কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে এ সময় এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রায় ছয় বছরের প্রচেষ্টার পর ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে লেখা এক চিঠিতে আইএসের খেলাফতের পতন হওয়ার সংবাদ প্রদান করেন।
সূত্র: আইআরআই।
কোন মন্তব্য নেই