দাড়ি রাখা, হিজাব-বোরকা পড়ায় হাজার-হাজার উইঘুরদের বন্দী করছে চীন - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

দাড়ি রাখা, হিজাব-বোরকা পড়ায় হাজার-হাজার উইঘুরদের বন্দী করছে চীন














সন্ত্রাসবাদ বা কোন অপরাধের জন্য নয়, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে চীন সরকার। মঙ্গলবার ‘কারাকাক্স লিস্ট’ নামে ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে প্রকাশ পায় এসব তথ্য। যাতে বলা হয়, দাড়ি রাখা, হিজাব-বোরকা পড়ার মতো তুচ্ছ কারণে বন্দি হাজার-হাজার উইঘুর। যাকে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার তকমা আঁটার চেষ্টা করছে সরকার।

সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুরদের বিচারবর্হিভূতভাবে বন্দি এবং অত্যাচার-নিপীড়ণের তথ্য ফাঁসের জন্য, গেলো ২/৩ বছর ধরেই আন্তর্জাতিক মহলের নজরে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ।

সম্প্রতি, সেখানকার ৩টি তথাকথিত সংশোধন কেন্দ্রের গোপন খবর ‘কারাকাক্স লিস্ট’ নামে ফাঁস হয়। যাতে, লিপিবদ্ধ তিন হাজারের বেশি উইঘুর পরিবারের তথ্য। ১৩৭ পৃষ্ঠার নথিতে দেখা যায়- একটি কেন্দ্রেই বন্দি কমপক্ষে ৩১১ উইঘুর।

প্রবাসী উইঘুর আসিয়া আবদুল ওয়াহেব বলেন, আত্মীয়-বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ, বন্দি আতঙ্ক আর পরিবারের সুরক্ষায় তারা কোন উচ্চবাচ্য করে না। অথচ, যেসব অভিযোগ আনা হয় সেগুলো কোন অপরাধ নয়।

কী কারণে বন্দি করা হচ্ছে উইঘুরদের- তার কারণ উল্লেখ রয়েছে নথিতে। দাড়ি রাখা, হিজাব-বোরকা পড়া, পাসপোর্টের জন্য ইন্টারনেট ব্রাউজিং, বাড়িতে ধর্মীয় পরিবেশ বা বেশি সন্তান নেয়ার মতো তুচ্ছ অজুহাত রয়েছে অভিযোগের তালিকায়।







কারাকাক্স নথি গবেষক ড. আদ্রিয়ান জেঞ্জ বলেন, বন্দিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং আটকের কারণগুলো গোপন নথিতে স্পষ্ট। এতো খুটিনাটি বিষয় মিথ্যা হতে পারে না। মধ্যযুগীয় ডাইনি নিধণকেও হার মানায় এ বর্বরতা।

নথিতে দেখা যায়- যাদের আটক করা হয়েছে; তাদের স্বজনদের মধ্যে কেউ না কেউ বিদেশে থাকেন; যারা আর ফেরেননি।

ক্যাম্পেইন অব উইঘুরস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুশান আব্বাস বলেন, গেলো ২/৩ বছর ধরে গণমাধ্যমে যেসব তথ্য, প্রতিবেদন উঠে আসছে, তারই গোপন নথি ‘কারাকাক্স লিস্ট’। সেখানেই আমার উইঘুর মুসলিম পরিবার থাকে। আন্তর্জাতিক প্যানেলে অত্যাচারের কথা বলার শাস্তি হিসেবে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তুলে নেয়া হয় আমার বোন আর খালাকে। এখনো তারা নিখোঁজ।

বরাবরের মতো চীনের সাফাই- সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় চালানো হচ্ছে এসব অভিযান। আর, তথাকথিত সংশোধন কেন্দ্রের ব্যপারে ব্যাখা- সেখানে ভাষার পাশাপাশি চীনা মতাদর্শের প্রতি অনুগত হওয়ার দীক্ষা দেয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই