সালিশি বৈঠকে ডেকে নিয়ে দুই ভাইকে কুপিয়েছে পুলিশ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সালিশি বৈঠকে ডেকে নিয়ে দুই ভাইকে কুপিয়েছে পুলিশ












সালিশি বৈঠকে ডেকে নিয়ে পুলিশের এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টো কর্তৃক দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিশাল মানববন্ধন হয়েছে। রোববার সকাল ১১ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখ চত্বরে ‘কক্সবাজার বিক্ষুদ্ধ সচেতন নাগরিক সমাজ’র ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সৈয়দুল হক মুরাদ, আব্দুল্লাহ আল আরমান, কামরুল হাসান ও মোহাম্মদ তারেক। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার এই শ্লোগানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে হামলাকারী পুলিশের এএসআই ভুট্টো। তারা ভুট্টোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, পারিবারিক জমিজমার বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে সালিশ মীমাংসার বৈঠক চলছিল। মান্যগণ্য ব্যক্তিদের মধ্যস্ততায় চলমান বৈঠকে প্রতিপক্ষের অতর্কিত স্বশস্ত্র হামলা, কুপাঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত হন হাফেজ আবু দারদা ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। ব্যাপক মারধর করা হয় অপর সহোদর কামরুল হাসান ও তাদের মা রহিমা আক্তারকে। কাপড়চোপড় টানা হেছড়া ও শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটানো হয়। ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় উল্টো আহতদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। যে মামলার আসামি হন কুপাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হাফেজ আবু দারদা ও আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ পরিবারের ৭ সদস্য।






প্রধান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টুর স্ত্রী রেহেনা পারভীন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার থানা মামলা নং-২৫/২০২০।

অপরদিকে, এ ঘটনায় ভিকটিম আবদুল্লাহ আল নোমানের ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল আরমান বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেছেন। যার নং-২৪/২০২০। এ মামলায় এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টসহ ৯জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলা নিয়ে পুলিশের আচরণ ও ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ মন্তব্য করেছে ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা। তবে, দুই পক্ষের দায়েরকৃত মামলা সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান।

এদিকে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সরাসরি আইন ভঙ্গ করা মারাত্মক চোখে দেখছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রীর অর্জন ও সুনামকে ক্ষুণ্ন করতে এরকম দু’একজন সরকারী সদস্যই যথেষ্ট মন্তব্য এলাকাবাসীর।






উল্লেখ্য,গত ১৭ ফেব্রুয়ারী চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগীরখীল গ্রামে বসত ভিটার বিরোধের জেরে সালিশি বৈঠকে এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টো কুপিয়ে আহত করে তার আপন দুই মামাত-ফুপাত ভাই হাফেজ আবু দারদা ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে। বেপরোয়া দায়ের কোপে দুই ভাইয়ের হাত ও ঘাড়ের রগ কেটে যায়। তাদেরকে মুমূর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহতের ভাই আব্দুল্লাহ আল আরমান বাদী হয়ে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানায় কর্মরত এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টোকে ১নং আসামি করে চকরিয়া থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে অভিযুক্ত এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টো প্রেশনে উখিয়ার ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছেন।






কোন মন্তব্য নেই