হোম কোয়ারেনটাইন শেষে সাদমানের মুক্তির আনন্দ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

হোম কোয়ারেনটাইন শেষে সাদমানের মুক্তির আনন্দ








বাম হাতের কব্জিতে সফল অস্ত্রোপচার শেষে গত ১৭ মার্চ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছিলেন সাদমান ইসলাম অনীক। ফিরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্দেশনায় চলে যান হোম কোয়ারেনটাইনে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক কঠোরভাবে বলে দিয়েছিলেন, আগামী ১৪ দিন নিজ কক্ষ থেকে বের হওয়া যাবে না। করেছেনও তাই। চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে প্রাণঘাতী করেনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিজেকে বাসার একটি কক্ষে আবদ্ধ রেখেছেন। দেখতে দেখতে তার সেই বদ্ধ সময় শেষ হয়ে এসেছে। সোমবার (৩০ মার্চ) শেষ হচ্ছে সাদমানের হোম কোয়ারেনটাইনের ১৪ দিন। তাতে মুক্তির আনন্দ ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে।


রোববার (২৯ মার্চ) পড়ন্ত দুপুরে সারাবাংলার ফোন পেয়ে ওপাশ থেকে হেসে দিয়ে বললেন, ‘কী যে ভাল লাগছে ভাই! আজ ১৩ দিন চলছে। অনেক কষ্টে দিনগুলো পার করলাম। আগামীকালই শেষ।’

কী করলেন এই কদিন? চটপটে জবাবে জানালেন, ‘তেমন কিছুই না। শুধু নিজের রুম থেকে বের হইনি। খাবারের সময় আম্মা এসে খাবার দিয়ে গেছেন। কোন খেলা নেই টিভিতে তাই গেমস খেলে কাটিয়েছি।’


হোম কোয়ারেনটাইন তো শেষ এখন কী করে কাটবে সময়? কেননা করোনার বিস্তার ঠেকাতে সরকার সবাইকে বাসায় থাকতে বলেছেন। বিষয়টি যদিও তার জানা তবুও একটু থমকে গেলেন। চকিতেই সামলে নিয়ে বললেন, ‘না, সরকার যেটা করেছে আমাদের সবার ভালর জন্যই। কী আর করা, বাসায়ই থাকব। ছাদে যাব।’

এরপর জানতে চাওয়া হলো তার হাতের অবস্থা, যে হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য তাকে কিছুটা অসহায়ই মনে হল। ‘হাতের ব্যান্ডেজ খুলতে পারছি না। কোন ডাক্তারের কাছে যাব? সবাই তো এখন করোনা আতঙ্কে। তবে দেবাশীষ স্যার (ডা. দেবাশীষ চৌধুরী) বলেছেন, কোন সমস্যা নেই। ব্যান্ডেজ পরে খুললেও চলবে।’

বাম হাতের কব্জির ব্যথাটা সাদমানের পুরনোই। ২০১৮ সালে ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের আগেই অনুশীলনে চোটটি পেয়েছিলেন। সেই চোট বয়ে বেড়িয়েছেন গেল দেড়টি বছর। গেল বছরের নভেম্বর ভারত সিরিজ শেষে বিপিএল চলাকালীন অস্ত্রোপচার করতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন হয়ে উঠেনি। অবশেষ চলতি মাসের ৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার শল্যবিদ গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন এই টাইগার টেস্ট ওপেনার। সঙ্গে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলে কাঁধের চোটে ছিটকে যাওয়া অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সাদমানের মত তিনিও হোম কোয়রেনটাইনে আছেন। রাত পোহালে তারও শেষ হবে কোয়ারেনটাইনের ১৪ দিন।

কোন মন্তব্য নেই