শবে মে’রাজের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জেনে নিন - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

শবে মে’রাজের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত জেনে নিন












আজ পবিত্র শবেমেরাজ- আসসালামু আলাইকুম। শবে মে’রাজ এর সংক্ষিপ্ত বিবরন রজব চাঁদের ২৭ তারিখ রাত্রে নবি কারিম (সঃ) মে’রাজ শরীফে গমন করেছিলেন। এই রাত্রে আল্লাহতালা তার অসীম কুদ্রতে মুহুরত কালের মধ্যে সপ্তম আসমান , বেহেস্ত, দোজখ ইত্যাদি এবং আরশে মোয়াল্লা আবলোকন করিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।

শবে মে’রাজ এর নামাজ পড়ার নিয়ম দুই, দুই রাকাত এর নিয়তে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়। ( আছাড় ও আপনি বিভিন্ন নফল ইবাদাত সহ আর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।) তবে মনে রাখবেন এশার নামাজ আদায় করারা সময় তিন রাকাত বিতির নামাজ আদায় যাবে না। এই তিন রাকাত নামাজ আদায় করবেন সকল নফল নামাজ এর পর।শবে মেরাজ এর নিয়তঅন্যান্য নফল নামাজের মতই এই নামাজের নিয়ত করবেন।

উচ্ছারনঃ নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহে তা’আলা রাক’আতায় ছালাতি লাইলাতিল মে’রাজ মুতাওইয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু একবার।যদি আপনি মনে করেন এটি মুখস্ত করতে সমস্যা বা মনে থাকে না। তাহলে এই নিয়ত আপনি বাংলায় ও করতে পারেন আপনার মনের ইচ্ছে মত।

যেমনঃ আমি কেবলা মুখি হয়ে মে’রাজ এর দুই রাক’আত নফল নামাজ আল্লাহ্‌ রাজি ও খুসির জন্য আদায় করিতেছি। আল্লাহ্‌ হুয়াকবার।উপরক্ত নিয়তে দুই রাকাত করে চার রাকাত পর পর মুনাজাত করতে পারেন। এই ভাবে ১২ রাকাত এর অধিক জত রাকাত খুশি আদায় করতে পারেন। আমি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল। আমার খুন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন। আর কমেন্ট এর মাধ্যমে ভুলটুকু ধরিয়ে দিবেন (সকলের সুবিধারতে)। আল্লাহ্‌ হাফেজ।

এ মহিমান্বিত রাতে আল্লাহ তায়ালার অশেষ অনুগ্রহে তাঁর প্রিয়নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিমে পৌঁছান এবং আল্লাহ তায়ালা’র সা’ন্নিধ্য লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এবপর পৃথিবীতে ফিরে আসেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে।

করো’না ভা ইরাসের আ তঙ্কের মধ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আজ রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালিত হবে। প্রতি বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মিরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। কিন্তু করো’না ভা ইরাসের কা রণে এবার কোনও কর্মসূচি পালিত না হলেও, নামাজের পর মুসল্লিদের নিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে। মসজিদ খোলা থাকবে, মুসল্লিরা চাইলে ইবাদত করতে পারবেন।






ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হিজরি সনের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে লাইলাতুল মেরাজ পালন করেন। ইসলামে এ রাতকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। মেরাজের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি পার করেন।

অনেকে নফল রোজা রাখেন। দান-সদকা করেন। মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মেরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহ’র সান্নিধ্যে মেরাজ গমন করেন।

পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইল ও সুরা নজমের আয়াত, তাফসির এবং সব হাদিসগ্রন্থে মেরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র এ রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে নবীজি (সা.) প্রথমে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে গমন করেন।

সেখানে হজরত আদম (আ.) সহ অন্য নবীদের নিয়ে মহানবী (সা.) দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এ রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে তিনি মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছান। এরপর আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন।






কোন মন্তব্য নেই