করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে লড়তে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে লড়তে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান















করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে লড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোভিড নাইন্টিন বা করোনাভাইরাস অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলেছে বিশ্বকে। এই সঙ্কট কোনও একটি দেশের একার পক্ষে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এ সঙ্কট মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৩শে এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার বিষয়ক ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবন থেকে অংশ নেয়া এই সম্মেলনে, সূচনা বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করছে তখন করোনাভাইরাস আমাদের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে।

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সঙ্কটে সমন্বিত দায়িত্বশীলতা এবং অংশীদারিত্বমূলক মনোভাবের ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। আহ্বান জানান, সঙ্কট মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এক সঙ্গে কাজ করার।

সঙ্কট দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে মন্তব্য করে সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।







প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুলে ধরা পাঁচটি প্রস্তবনার মধ্যে রয়েছে-

প্রথমত, করোনার কারণে দরিদ্র এবং বৈষম্য বাড়বে। যাদের দারিদ্রসীমা থেকে বের করে আনা হয়েছিলো তারা আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। তাই বৈষম্য দূর করতে এবং কোভিড-১৯ এর আগের অর্থনৈতিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নতুন করে ভাবতে হবে।

দ্বিতীয়ত, জি-৭ এবং জি-২০ এর মতো সংগঠনগুলো থেকে দৃঢ় ও বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। ইকনোমিক ফোরাম ও জাতিসংঘের উচিত সরকার এবং বিশ্ব ব্যবসাকে এ বিষয়ে একত্রিত করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া।

তৃতীয়ত, কোভিড পরবর্তী সময়ে, নতুন নীতি, স্ট্যান্ডার্ড ও পদ্ধতি দেখবে পৃথিবী। সুতরাং, আমাদের এমন কৌশল ও বাস্তবমুখী সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন বাংলাদেশের মতো দেশগুলো টিকে থাকতে পারে।







চতুর্থত, অভিবাসী কর্মীরা বেকারত্বসহ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি পার করছেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সুতরাং, আমাদের একটি অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

পঞ্চম, মহামারির সময়ে আমরা কার্যকরভাবে বেশকিছু ডিজিটাল প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার করেছি। যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংক্রমণ চিহ্নিত করা। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য আমরা বিভিন্ন সেক্টরে এই রকম উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও সরকারের সার্বিক পরিকল্পনায় রয়েছে বলেও জানান সরকার প্রধান।

কোন মন্তব্য নেই