এবার চীনে নতুন রূপে করোনাভাইরাস - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

এবার চীনে নতুন রূপে করোনাভাইরাস












চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুনভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ধরনে অনেকটা ভিন্ন। জানিয়েছে বেইজিং। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সম্পূর্ণ অজানা উপায়ে রূপ পাল্টাচ্ছে ভাইরাসটি। শঙ্কা বাড়ছে, এর ফলে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে কোভিড নাইনটিন মহামারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। আবারও মহামারির শঙ্কায় এরই মধ্যে বেশ কিছু শহরে লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন।

নোভেল করোনাভাইরাসের উৎসস্থল- চীনের উহানে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসে মার্চে। টানা প্রায় তিন মাসের কঠোর লকডাউন শিথিল হয় এপ্রিলে। জনজীবনে গতি ফেরাতে প্রশাসনের ব্যস্ততার মধ্যেই খবর, মধ্যাঞ্চলের পর ছোঁয়াচে কোভিড নাইনটিন এখন জাল ছড়াচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু শহরে।

গেলো দু’দিনে, হেইলংজিয়াং আর জিলিন প্রদেশের বেশ কিছু শহরে পূর্ণ ও আংশিক লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, উহানের তুলনায় এ অঞ্চলে ছড়ানো কোভিড নাইনটিনের ইনকিউবেশন পিরিয়ড বেশ দীর্ঘ। অর্থাৎ মানবদেহে প্রবেশের পর, রোগের বিস্তারে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জনে এখানে বেশি সময় নিয়েছে ভাইরাসটি।

জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ কিউ হাইবো বলেন,”জিন সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে আমরা জেনেছি যে, জিলিন আর হেইলংজিয়াংয়ে কোভিড নাইনটিনের সংক্রমণ স্থানীয়ভাবে হয়নি। বাইরে থেকে ভাইরাসবাহকরা অঞ্চলটিতে যাওয়ার পর সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই এই দুই অঞ্চলে প্রাপ্ত নমুনার সাথে উহানে ছড়ানো ভাইরাসের মিল আছে। কিন্তু অমিলটাই বেশি।”

ঝুঁকির এখনকার কেন্দ্র, রুশ সীমান্তবর্তী সাত লাখ বাসিন্দার শুলান শহর। আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই কোনো উপসর্গ নেই। অসুস্থ না হওয়ায় সতর্কতারও বালাই ছিল না। এ সুযোগে প্রথমে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে, আর তারপর আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়েছে ভাইরাসটি।

কিউ হাইবো বলেন, “উহানে করোনা আক্রান্ত ফুসফুসের সাথে হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু জিলিন ও হেইলংজিয়াংয়ে আক্রান্তদের মধ্যে ফুসফুসে সংক্রমণই প্রধান লক্ষণ। কোভিড নাইনটিনের কারণে হৃৎপিণ্ড, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জটিলতা এ অঞ্চলে এখনও বিরল।”






বুধবার পর্যন্ত শুধু জিলিন প্রদেশেই ১৩৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। মারাও গেছেন দু’জন। তাদের সংস্পর্শে আসা প্রায় ১২শ’ মানুষ আছেন পর্যবেক্ষণে। ইমিউনিটি, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী নয় বলে দ্বিতীয় দফা মহামারির বড় চ্যালেঞ্জের মুখে চীন, বলছেন বিশ্লেষকরা।

কোন মন্তব্য নেই