কঠিন আট রোগের প্রতিষেধক পটল - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

কঠিন আট রোগের প্রতিষেধক পটল














পটল খুবই পরিচিত একটি সবজি। যা খেতে দারুণ সুস্বাদু। পটল দিয়ে নানা রকম রেসিপি তৈরি করে খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে শুধু খেতেই নয়, পটল স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। এর পুষ্টিগুণ অতুলনীয়। নেপালে অসুস্থ্য রোগীদের দ্রুত সুস্থতার জন্য পটলের স্যুপ খাওয়ানো হয়।

পটলে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পটল ও এর বিচিতে রয়েছে অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই চলুন আজ জেনে নেয়া যাক পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়

পটলের ছোট গোলাকার বিচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় পটল রাখতে ভুলবেন না।

ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করে

পটল ফ্লু নিরাময়েও দারুণ কার্যকর। আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় ঠাণ্ডা, জ্বর ও গলাব্যথা কমাতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পটল।

বয়সের ছাপ দূর করে

পটলে ভিটামিন এ ও সি থাকে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পটল।



মাথাব্যাথা কমায়

অসহ্যকর মাথাব্যথার যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দেয় পটল। সবুজ পটলের রস মাথায় লাগালে মাথাব্যথা দূর হয়। এমনকি যাদের অল্প বয়সে টাকের সমস্যা রয়েছে তাদের টাক সমস্যাও দূর করে।







হজমে সাহায্য করে

সবুজ রঙের এই সবজিটিতে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে। পটলের সঙ্গে ধনে পাতা হালকা ছেঁচে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি দিনে তিন বার পান করুন। হজম শক্তিতে বেশ উপকার মিলবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে

পটলের মতো এর বিচিও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে।

রক্ত পরিষ্কার করে

নিয়মিত পটল খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। ফলে ত্বক ভালো থাকে। যার ফলে ত্বকের যত্নেও এই সবুজ সবজিটি ভালো কাজ করে।

ওজন কমতে সাহায্য করে

পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। পটলের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। ফলে হৃদরোগ ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকে না। তাই নিয়মিত বেশি করে পটল খান।

কোন মন্তব্য নেই