ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ শুরু সহসাই
আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। ঐ কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে করোনার সময়ে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে প্রতিভা অন্বেষণ করা যায়। প্রথম পর্যায়ে বিভাগীয় পর্যায়ে এই প্রতিভা অন্বেষণ করব। প্রতিটি বিভাগের যে জেলাগুলো জুনিয়র টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বেশি তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। গত বছর আগস্টে হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। গত শুক্রবার এই কমিটির চতুর্থ সভায় জাতীয় ও জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণের পাশপাশি ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের এওডি প্রজেক্টে দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ফেডারেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলামকে প্রধান করে প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দ্রুত সভায় বসে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে। তারপর জেলা ও বিভাগে চিঠি দেবে করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে সঠিকভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যায় তার মতামত নিতে। সারা দেশ থেকে প্রতিভা বাছাই করে ঢাকায় এনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে ফেডারেশন। তবে কতজন অ্যাথলেট নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের প্রশিক্ষণ হবে তা নির্ভর করবে কোয়ালিটি অ্যাথলেট পাওয়ার ওপর। অ্যাথলেটিকস অলিম্পিক ডিভিডেন্ট (এওডি) প্রজেক্টের অধীনে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়াও আরেকটি প্রজেক্টে ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। লেভেল-১ কোচেস কোর্সের জন্য ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস এ অর্থ দিচ্ছে। দুই প্রজেক্ট মিলে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৪৭ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৪০ লাখ টাকার মতো।
মাঝে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। তখন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস থেকে বলতে গেছে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমান কমিটি সুসম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস থেকে বিভিন্ন প্রজেক্টের অধীনে অর্থ আনতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সভাপতি এএসএম আলী কবীর বলেছেন, ‘এক সময় সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অর্থের অভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন আমাদের সুসম্পর্ক আছে। আমরা দেশব্যাপী ট্যালেন্ট হান্টিং করব এবং ঘরোয়া যে তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ করি তার মধ্যে জুনিয়রটা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাব।’ এর মাধ্যমে অ্যাথলেটিকসের হারানো গৌরব ফিরবে বলে আশা করে সাবেক সচিব এএসএম আলী কবীর বলেন, ‘আমরা জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেলা পর্যায়ে করে, বিভাগীয় পর্যায়ে নেব। তারপর ঢাকায় হবে চূড়ান্ত পর্ব। চূড়ান্ত পর্বের প্রতিটি ইভেন্টের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়াদের বছরব্যাপী ট্রেনিং ও বৃত্তির ব্যবস্থা করব।’ সভাপতি আশা করছেন, প্রজেক্টগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস ভবিষ্যতেও এ খাতে অর্থ বরাদ্দ দেবে এবং অর্থের পরিমাণও বাড়বে।

কোন মন্তব্য নেই