যমুনা সার কারখানার সার নিচ্ছেন না ডিলাররা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

যমুনা সার কারখানার সার নিচ্ছেন না ডিলাররা




জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) ভেজা ও ছেঁড়া বস্তায় পচা সারের কারণে উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন ডিলাররা। ফলে গত ৫ দিন ধরে বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের ২০ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যমুনা সার কারখানার বিক্রয় শাখা সূত্র জানায়, কারখানায় বর্তমানে নিজস্ব উৎপাদিত ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে ৫২ হাজার ২৬০


টন। অপরদিকে বাইরে থেকে আমদানি করা সারের মজুত রয়েছে ৩৩ হাজার ৪৪৯ টন। বিসিআইসির তালিকাভুক্ত ডিলারদের প্রতি মাসে কারখানার কমান্ড এরিয়ায় সরবরাহের জন্য ১২ টন সার বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত ১০ টন ও আমদানি করা ২ টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।


ডিলার চাঁন মিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মোজাম্মেল হক মুকুল ও মেসার্স এল কে এন্টারপ্রাইজের মালিক লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা সার দীর্ঘদিন ধরে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে এর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষ পুনরায় সেগুলো রিফাইন ও রি-প্যাকিং করে ডিলারদের নিতে বাধ্য করে। সারগুলো জমিতে প্রয়োগের সময় পাউডার হয়ে উড়ে যায় ও ফসলের কোনো কাজেই আসে না। নিম্নমানের এই সার কৃষকরা গ্রহণ না করায় ডিলারদের প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই তারা এসব গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে।


কারখানার কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে জমাট বাঁধা সার ট্রাক্টর দিয়ে পিষে ও হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে সেগুলো রি-প্যাকিং করে ডিলারদের বরাদ্দকৃত সারের সঙ্গে ঢুকিয়ে দেয়। এ কারণে গত আগস্ট মাসেও ডিলাররা ৩ দিন সার উত্তোলন বন্ধ রাখেন। গত ২৩ আগস্ট এক সমঝোতা বৈঠকে কর্তৃপক্ষ ভালো সার সরবরাহের প্রতিশ্রæতি দিলে সরবরাহ শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ শর্ত অমান্য করায় ডিলাররা ফের সরবরাহ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।


এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুজিদ মজুমদারের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কারখানার ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) ওয়ায়েছুর রহমান জানান, ডিলাররা ৫ দিন ধরে সার গ্রহণ বন্ধ রেখেছে। ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের দাবিগুলো কারখানার কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।



কোন মন্তব্য নেই