এজেন্ট ব্যাংকিং: গ্রামীণ এলাকায় বেড়ে চলা এই ব্যাংক ব্যাবস্থায় লেনদেন কীভাবে হয়? - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

এজেন্ট ব্যাংকিং: গ্রামীণ এলাকায় বেড়ে চলা এই ব্যাংক ব্যাবস্থায় লেনদেন কীভাবে হয়?

 


মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা সদর থেকে অন্তত দশ কিলোমিটার দুরে থাকেন তফুরা বেগম।


স্বামী বিদেশে থাকেন আর ছেলে স্কুলে পড়ে। কিন্তু বিদেশ থেকে আসা টাকা তোলার জন্য তাকে আর উপজেলা সদরে ব্যাংকে যেতে হয়না গত প্রায় ৫ বছর ধরে।


"আগে তো ব্যাংকে যাইতাম টাকা তুলতে। বছর পাঁচেক হইলো এজেন্টের কাছ থেকে তুলি। পোলার স্কুলের বেতনও ওইখানে জমা দেই," বলছেন তিনি।


তফুরা বেগমের মতো অসংখ্য মানুষ যারা প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেন টাকা জমা দেয়া বা তোলা ছাড়াও নানা ধরণের ব্যাংকিং সেবার জন্য এখন প্রতিনিয়ত ভিড় করেন বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে।

\

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে বাংলাদেশে এ ধরণের এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু হয়েছিলো ২০১৩ সালে আর ২০২০ জুন মাস নাগাদ এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে অ্যাকাউন্ট হয়েছে ৭৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯০টি।


এর মধ্যে নারীদের অ্যাকাউন্টই আছে ৩৪ লাখ ১০ হাজার ২৭০টি যা মোট অ্যাকাউন্টের ৪৬ শতাংশ।


অন্যদিকে এ মুহূর্তে দেশের তেইশটি ব্যাংক ৮৭৬৪ জন এজেন্টের মোট ১২ হাজার ৪৪৯টি আউটলেটে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেয়া হচ্ছে।


বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে এ যাবৎকাল জমা পড়েছে ১০ হাজার কোটির বেশি টাকা। রেমিটেন্স বিতরণ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।


আর ঋণ বিতরণ হয়েছে এসব পয়েন্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় সাতশ বিশ কোটি টাকা।


মহামারির সময়েও বেড়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে এ সময়ে এজেন্ট ও আউটলেট বেড়েছে যথাক্রমে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৮৩ শতাংশ।


আর এ সময়ে নারীদের অ্যাকাউন্ট করার হার বেড়েছে পনের শতাংশেরও বেশি।


"মূলত ২০১৩ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রত্যন্ত এলাকা বসবাসকারীরা যারা প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার অনেকটাই বাইরে তাদের জন্য। সেভিংস, লোন, রেমিটেন্স ছাড়া পেমেন্ট সার্ভিস যেমন ইউটিলিটি বিল, কর বা সরকারি ভাতা তোলার মতো কাজগুলো এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে ব্যাংক করতে পারে," বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে তাদের প্রতিবেদনে।

কোন মন্তব্য নেই