ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন রেগুলেশনে সংশোধনের প্রস্তাব - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন রেগুলেশনে সংশোধনের প্রস্তাব


ট্রেক হোল্ডারস মার্জিন রেগুলেশনের কিছু ধারা উপধারায় আংশিক সংশোধন চায় ব্রোকাররা। এই বিষয়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। ডিএসই প্রস্তাবনার ওপর অভিমত দিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে পাঠিয়েছে।


ডিএসই-সূত্রে জানা গেছে, ট্রেক হোল্ডারদের মার্জিন রেগুলেশনের কিছু অংশ শিথিল করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে ব্রোকাররা। এবার রেগুলেশনের যেসব ধারা উপধারা ব্রোকাররা সংশোধন চায়, তা প্রস্তাবনা আকারে ডিএসইতে জমা দিয়েছে ডিবিএ। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ট্রেক হোল্ডার মার্জিন) রেগুলেশন ২০১৩-এর বেশ কিছু ধারা-উপধারায় আংশিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেকহোল্ডারদের মার্জিন রেগুলেশন সংশোধনে বিএসইসিতে অভিমত তুলে ধরেছে ডিএসই।


ডিএসই-এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, প্রত্যেক ব্রোকারেজ হাউজের মার্জিন ডিপোজিটের ফ্রি লিমিট ১০ কোটি টাকা। মার্জিন রেগুলেশন ২০১৩-এর কিছু বিধি শিথিল করার জন্য ডিএসইতে প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিবিএ। ডিএসই অভিমত দিয়ে তা কমিশনে পাঠিয়েছে।


আলোচ্য রেগুলেশনের যেসব বিধি উপবিধিতে আংশিক সংশোধনের প্রস্তাব ডিবিএ থেকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো, রেগুলেশনের ২ (১) (এ) তে ‘এডিশনাল ট্রেড এক্সপোজার ’বলতে প্রত্যেক ট্রেকহোল্ডারের মোট ট্রেড এক্সপোজার ফ্রি লিমিট ছাড়িয়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু এখানে মোট ট্রেড এক্সপোজার না বলে নিট ট্রেড এক্সপোজার বলতে ডিবিএ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


রেগুলেশনের ২ (১) (জি) ‘ফ্রি লিমিট’ বলতে বোঝানো হয়েছে, প্রত্যেক ট্রেকহোল্ডারের গ্রস ট্রেড এক্সপোজার, যার ওপর কোনো মার্জিন প্রযোজ্য হবে না। এখানে গ্রস ট্রেড এক্সপোজার না বলে নিট ট্রেড এক্সপোজার বলতে ডিবিএ প্রস্তাবনা দিয়েছে।


রেগুলেশনের ২(১) (এইচ) ‘ট্রেড এক্সপোজার’ বলতে ট্রেডিং দিনের যেকোনো সময় ট্রেকহোল্ডারের মোট ক্রয় পজিশনকে বোঝানো হয়েছে। এখানে নিট ক্রয় পজিশন করার প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিবিএ। রেগুলেশনের ৩ নম্বরে ‘ফ্রি লিমিট’ বলতে স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডারদের মার্জিন ডিপোজিটের ফ্রি লিমিট ১০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর তা প্রত্যেক ট্রেডিং দিনের মোট ক্রয় এক্সপোজার ওপর ভিত্তিতে করে হবে। তবে শর্ত হলো, ফরেন ট্রেডের ক্ষেত্রে ক্রয় এক্সপোজারের পরিবর্তে গ্রস ট্রেড এক্সপোজার হবে। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বিক্রি এক্সপোজার আনসেটেলড থেকে যায়। এখানে ফরেন ট্রেডের বিষয়টি বাদ দেওয়ার এবং মার্জিন ডিপোজিটের ফ্রি লিমিট ১০ কোটি টাকার প্রত্যেক দিনের নিট ক্রয় এক্সপোজার-ভিত্তিতে গণনার প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিবিএ।


রেগুলেশনের ৪ (২) তে বলা হয়েছে, ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে সরাসরি লেনদেন গ্রস ট্রেড এক্সপোজার গণনা থেকে বাদ যাবে। এখানে গ্রস ট্রেড এক্সপোজারের স্থলে নিট ট্রেড এক্সপোজার করার জন্য ডিবিএ প্রস্তাবনা দিয়েছে। এছাড়া শেয়ারের অভিহিত মূল্যের ৫০ শতাংশ গণনার জন্য ডিবিএ প্রস্তাব করেছে।


ডিএসই ও তাদের সদস্য ব্রোকারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ডিএসই-এর সব সক্রিয় ট্রেকহোল্ডারের ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা ক্রেডিট এক্সপোজার রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ কোটি টাকা ফ্রি লিমিট রয়েছে। যদি রেগুলেশনের আংশিক সংশোধন করে গ্রসের স্থলে নিট হিসাব করা হয়, তাহলে ট্রেকহোল্ডাররা ব্যবসায় কিছুটা সুবিধা পাবে। একইসঙ্গে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।


ব্রোকাররা আরও বলছেন, বর্তমানে শেয়ার ক্রয়ের ওপর মার্জিন লিমিট ধরা হয়। যদি শেয়ার বিক্রি হয়, তাহলে তা মার্জিন ডিপোজিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। শেয়ার ক্রয়ের সঙ্গে বিক্রয় যদি সমন্বয় করা হয়, তাহলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে লেনদেন বাড়বে। তাছাড়া যদি লেনদেন শেষ হওয়ার পরও ব্যাংকিং সময়ে ব্রোকারদের অর্থ জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ওই দিনই তারা তা করতে পারবেন। কিন্তু বিদ্যমান আইনে সেই সুযোগ নেই। তাতে লিমিটের বেশি শেয়ার ক্রয় করলে একজন ব্রোকারকে ডিফল্ট হতে হবে। এ কারণেই কিছু বিধিমালায় আংশিক পরিবর্তনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।


ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা মার্জিন ডিপোজিট রেগুলেশনের কিছু বিষয় সংশোধনের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছি। বর্তমানে মার্জিন ডিপোজিট ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ফ্রি লিমিট আছে। শুধু শেয়ার ক্রয়ে এ লিমিট গণনা করা হয়। শেয়ার ক্রয়ের সঙ্গে বিক্রি সমন্বয় করলে ব্রোকাররা সহজে কার্যক্রম চালাতে পারবে। এতে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে বলেও তিনি জানান।






কোন মন্তব্য নেই