করোনায় তৈরি পোশাক খাতে ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেলো বাংলাদেশ
অর্থাৎ পোশাক রফতানি করে ভিয়েতনামের চেয়ে ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। অথচ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত ১১ মাসে বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনামের আয় ২ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার বেশি ছিল। ওই সময়ে তৈরি পোশাক থেকে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ২৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার আর ভিয়েতনামের ছিল ২৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকরা বলছেন, করোনাকালে সরকারের দেয়া প্রণোদনা এই খাতের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আরও নীতি ও অর্থ সহায়তা দরকার বলে জানান তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির।
বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, ২০২০ সালের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়) বিশ্ববাজারে ৯৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদশ। একই সময়ে ভিয়েতনাম রপ্তানি করে ১ হাজার ৫০ কোটি ৯১ ডলারের তৈরি পোশাক। অর্থাৎ গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশের চেয়ে ৮২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি বেশি করেছিল ভিয়েতনাম। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশ বেশি পোশাক রপ্তানি করলেও মার্চ থেকে এগিয়ে যায় ভিয়েতনাম। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের চেয়ে ১১২ কোটি ডলারের বেশি তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করে। মার্চে বাংলাদেশ ২২৬ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করে, যেখানে একই মাসে ভিয়েতনাম করে ২৩৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি।
এপ্রিলে বাংলাদেশ ৩৭ কোটি ডলার আর ভিয়েতনাম করে ১৬১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। আর মে মাসে বাংলাদেশ ১২৩ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করে যেখানে একই মাসে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৮৬ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতে, বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ আর ভিয়েতসামের ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
কোন মন্তব্য নেই