পূর্ণ চন্দ্রের জন্যই ফের সচল হয়েছিল সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পূর্ণ চন্দ্রের জন্যই ফের সচল হয়েছিল সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ



 


দিন কয়েক আগেই সুয়েজ খালে আটকে গিয়েছিল এভার গিভেন নামে এক মালবাহী জাহাজ। স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাবতীয় ব্যবসা বাণিজ্য। এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে ব্যাবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাল। এই পণ্যবাহী জাহাজটি খালে আটকে পড়ার ফলে অন্য কোনও জাহাজও যাতায়াত করতে পারছিল না। ওই জাহাজটিকে পুনরায় সচল করার জন্য চেষ্টা শুর করে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ। সমস্ত দিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিন ছয়েক পর সেটিকে ফের সচল করা যায়।


জানা গিয়েছে, জাহাজটি উদ্ধারকারী দল পূর্ণ চন্দ্র এবং ভরা কোটালের সুযোগ নিয়ে পণ্যবাহী জাহাজটিকে সচল করার আশা করেছিল। এই সময়ের মধ্যে চাঁদ ও সূর্য একই রেখায় অবস্থান করছিল। পৃথিবীও তাদের মাঝখানে ছিল। এর মাধ্যাকর্ষণ টানের ফলে উপকার হয় উদ্ধারকারী দলের। এর জন্য জল সহজেই সেই শক্তির দ্বারা আকর্ষিত হয়। ফলে ভরা জোয়ার আরও বেশি হয় ও ভাঁটা আরও মন্থর গতির হয়ে যায়। ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। এদের বলা হয় ‘কিং টাইড’-এর ‘বসন্ত’। মাসে ২ বার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।


৩০ মার্চ চাঁদ পৃথিবীর অনেকটাই কাছে ছিল। ফলে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর জলের উপর প্রভাব ফেলে। চাঁদ পৃথিবীকে উপবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী থেকে এর সর্বাধিক দৃরত্ব হল ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মাইল। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে যখন চাঁদ থাকে তখন এদের মধ্যে দূরত্ব থাকে ৩০ হাজার মাইল। মার্চের প্রথম চন্দ্র ছিল ৩০ মার্চ। ফলে চাঁদের আকর্ষণে সেই সময় ও তার আশপাশের সময় জোয়ার ছিল অত্যন্ত প্রবল।

অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী মতে তখন আবার সুপারমুন চলছিল। ফলে জলে তার প্রভাবও পড়েছিল। সাধারণত জোয়ারের সময় যতটা জল ফুলে ওঠে সেই সময় তার দেড় ফুট বেশি ফুলে উঠেছিল জল।


এমনিতেই মহামারীর কারণে বহুদিন বন্ধ ছিল ব্যবসা বাণিজ্য। এখন তা চালু হয়েছে। এই সময় এমন একটি সমস্যায় ফের বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এই খালটি দিয়ে গোটা বিশ্বের বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ হয়ে থাকে। তাই সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল জলপথ বাণিজ্যের জন্য বেছে নেয়। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের তরফে ১০টি ট্যাগবোটের সাহায্যে এভার গিভেনকে বাঁধনমুক্ত করা হয়। ড্রেজারের সাহায্যে একে ফের জলে ভাসানো হয়। এর জন্য প্রায় ২৭ হাজার কিউবিক মিটার ও ১৮ মিটার বালি খুঁড়তে হয়। মিশরের তরফে এও বলা হয়েছিল যদি মঙ্গলবারের মধ্যে জাহাজ কোনওভাবেই সরানো না যায় তবে পণ্য খালাস করতে শুরু করা হবে। তবে তার প্রয়োজন পড়েনি।



কোন মন্তব্য নেই