বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স জেটে আরো বৈদ্যুতিক ত্রুটি
এর আগে গত সপ্তাহে বহর থেকে বেশকিছু ম্যাক্স জেটকে সরিয়ে নেয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, এগুলোতে কিছু উৎপাদন জটিলতা তৈরি হয়েছে। সমস্যাটি ছিল নতুন তৈরি হওয়া কিছু উড়োজাহাজের ককপিটের ব্যাকআপ পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিটে। এর পর থেকে আরো কিছু সমস্যা পাওয়া যেতে পারে। যেমন ফ্লাইট ডেকের দুটি আলাদা স্থানে গ্রাউন্ডিংয়ের সমস্যা। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কন্ট্রোল ইউনিট সংরক্ষণের স্টোরেজ র্যাক ও পাইলটের মুখোমুখি থাকা ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল।
এদিকে এসব ত্রুটির খবর প্রকাশের পর পরই পড়তে শুরু করেছে বোয়িংয়ের শেয়ারদর। তবে এসব সমস্যার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বোয়িং করপোরেশন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তারা কেবল এটুকু বলেছে যে তারা ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসনের তদারকিতে গাইডলাইন তৈরির কাজ করছে।
দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ২০ মাস গ্রাউন্ডিং থাকার পর পুনরায় বাজারে আসতে শুরু করে বোয়িংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল ৭৩৭ ম্যাক্স। নতুন যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেটি নকশার সমস্যা নয়। বেশির ভাগ বিশ্লেষক বলছেন, এ ত্রুটি সারাতে বেশি সময় লাগবে না। তবে কবে নাগাদ এর কাজ শুরু হবে সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। বিশ্বের যেসব এয়ারলাইনস বোয়িংয়ের এ মডেল ব্যবহার করছে তাদের বোয়িং জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকদিন লাগতে পারে। বোয়িং জানিয়েছে, তারা ৭৩৭ ম্যাক্স জেটের উৎপাদন ধীরে ধীরে বাড়াতে চায়। ২০২২ সাল নাগাদ প্রতি মাসে ৩১টি উড়োজাহাজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। বোয়িং বর্তমানে প্রতি মাসে চারটি বাহন তৈরি করে।
কোন মন্তব্য নেই